পটুয়াখালীতে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী গতকাল শনিবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ রোববার তার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এই কলেজছাত্রীর বাবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রাণ হারান।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জাকারিয়া জানান, শনিবার রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯শে জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই কলেজছাত্রীর বাবা। পরে তাকে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
গত ১৮ই মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই কলেজছাত্রী।
তিনি ওই ঘটনার দুইদিন পর গত ২০শে মার্চ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন ।