শেরে বাংলার ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পরবর্তী প্রজস্মের কাছে চির স্মরণীয় করে রাখতে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি ছিলেন এই উপমহাদেশের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র।
২৭ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যায় বরিশাল সংস্কৃতিকেন্দ্র আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বরিশাল সংস্কৃতিকেন্দ্রের সহ-সভাপতি মো. আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সরকারি গৌরনদী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং ‘শের-ই-বাংলা জীবন ও কর্ম’ বইয়ের লেখক প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দিন সিকদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুল হক। বক্তব্য রাখেন শেকড় সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি পথিক মোস্তফা, কলামিস্ট মাহমুদ ইউসুফ, জাতীয় কবিতা পরিষদ বরিশাল শাখার সেক্রেটারি কবি জামান মনির, বরিশাল সংস্কৃতিকেন্দ্রের সহকারী পরিচালক তৈয়বুর রহমান আজাদ, সংগঠক মো. কবির, বাকিবিল্লাহ ফেরদৌস প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। শেরে বাংলা শতাধিক বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয় করণ করার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। সেই সংগ্রামের আশি বছর পর ১৯৯৩ সালে তার সেই দাবি বাস্তবায়ন করেছে তৎকালীন বিএনপি সরকার। কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের জীবন মান উন্নয়নে তাঁর অবদান চির স্মরণীয় হয় থাকবে।
অনুষ্ঠানে কবি আসাদ বিন হাফিজের লেখা ‘অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার’ কবিতা আবৃত্তি করেন আবদুল্লাহ আল ফারুক। দেশের গান পরিবেশন করেন শিল্পী আমিনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বরিশাল সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক ও দৈনিক বাংলাদেশ বাণী পত্রিকার সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন।