কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারন করার অভিযোগ উঠেছে ফজলুল হক (৪৮) নামের এক গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ফজলুল হক উপজেলার চর গোকুন্ডা ইউনিয়নের মৃত টেংরা মামুদের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফজলুল হক ও তার স্ত্রী রোজিনা পলাতক আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ফজলুল হক ও তার স্ত্রী রোজিনা মিলে ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রলোভন ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
২ মার্চ রবিবার ফজলুল হকের স্ত্রী রোজিনা ওই ছাত্রীকে কৌশলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর সহযোগিতায় ফজলুল হক জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি গোপন করে একটানা ১৮ দিন ধরে ঐ ছাত্রীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে ও ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে।
ঘটনা জানাজানি হলে সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে সেনাবাহিনীর চৌকস সদস্যরা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানায় পাঠায় ।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ফজলুল হক ও তার স্ত্রী রোজিনা আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল । আমি রাজি না হওয়ায় আমার ইচ্ছার বিরোদ্ধে জোরপূর্বক আমার সাথে খারাপ কাজ করে। মোবাইল ফোনে ভিডিও করে আমাকে দেখায়।
বাইরে বললে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমার বলার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। আমার মেয়ে হারিয়ে গেছে অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করেছি। আমার মেয়ের সাথে এমন ঘটনার করায় অপরাধীদের সঠিক বিচার ও দৃষ্টান্ত মলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত ফজলুর বাড়ি থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এ ঘটনায় মামলার হয়েছে ।’