ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেলে মিলনকে ফিরে পেতে বৃদ্ধা মায়ের আহাজারি

মাদক ব্যাবসায় বাধা দেওয়ায় অপহরণ হতে হল  দুই কন্যা সন্তানের জনক মাহমুদুর রহমান মিলন (৩৬)নামে এক যুবককে। মিলনকে ফিরে পেতে আহাজারি করছেন মিলন’র বৃদ্ধা মা মোছাঃ মেঘনা বেগম’র(৫৫)। ছেলেকে ফিরে পেতেই অপহরণ মামলা দায়ের করণের বৃদ্ধ বাবা মাহবুবুর রহমান (৫৯)। বৃদ্ধ বাবা মায়ের শেষ কালের অন্ধের যষ্টি মিলনকে হারিয়ে প্রায় অনাহারে দিন কাটছে পরিবারের এমন দাবি বৃদ্ধ বাবা-মায়ের।
সরেজমিনে গিয়ে ও রংপুর সদর কোতয়ালী থানার এজাহারের সুত্রে জানা যায়,রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের কুর্শা বলরামপুর গ্রামের মোঃ মোকছেদুর রহমানের পুত্র মোঃ ফুয়াদ মিয়া দির্ঘ্যদিন থেকে মাদক ব্যবাসা করে আসছে। গেলো বছর র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)-১৩ কোম্পানির হাতে মাদক সহ গ্রেপ্তার হন ফুয়াদ। জামিনে বের হয়ে আগের থেকে আর বেশী জমজমাট করে তোলেন নিজের মাদকের সাম্রারাজ্য। সেই মাদক ব্যাবসা বন্ধ করতে বলায় কাল হল দুই কন্যা সন্তানের জনক মাহমুদুর রহমান মিলন সহ কন্যা মোহনা আক্তার (৯) ও মুমু মণি (৩) সহ পুরো পরিবারের।
এজাহার থেকে আরো জানা যায়, গত ১৬-০৭-২০২৫ খ্রিঃ রোজ বুধবার রাত আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকার সময় নিজ বাসা থেকে মিলনকে ডেকে নিয়ে যায় এজারের অভিযুক্ত ফুয়াদ ও তার ছেলে সোহাগ মিয়া। সেই থেকে আর বাড়িতে ফেরা হয়নি মিলনের। ছেলেকে খোজাখোজি করে না পেয়ে গতকাল রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের মোকছেদুল হক’র পুত্র মোঃ  ফুয়াদ মিয়াকে  প্রধান অসামীকরে ফুয়াদ মিয়ার  ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া ও স্ত্রী মোছাঃ সোহাগী বেগম সহ একই গ্রামের মোঃ বাদশা মিয়ার পুত্র মোঃ মোস্তাকিন মিয়ার নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে  একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন পিতা মাহবুবুর রহমান।
মিলনের মা মোছাঃ মেঘনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বাবা মিলন ত্ইু কইরে! আয় বাবা আমার বুকে আয়। আমার বুকের ধনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন বাবা। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা মাদক বন্ধ করার কথা বলায় ফুয়াদ হামার বাপোক তুলি নিয়া গেছে আর হামার কলিজার ধন আমার বুকত্ব ফিরে আসে নাই । তোমরা হামার বাপক আনি দেও বলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তিনি।
মিলনের বাবা মাহবুবুর রহমান বলেন, হামার মিলনের ইনকামে হামার পরিবার চলে। হামার মিলন নাই আমার মুখে খাবারো নাই। হামরা থানার মামলা করছি পুলিশের কাছে দাবি করছি হামার বাবাক তোমরা হামার বুকত্ব ফিরে দেন বলেই অঝড় ধায় কাদতে থাকেন পিতা মাহবুবুর রহমান। অন্য দিকে বাবাকে হাড়িয়ে শোকে কাতর হয়ে গেছেন শিশু কণ্যা মোহনা ও মুমু।
এই ঘটনায় রংপুর সদর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মিলন অপহরণ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৭ জনের অজ্ঞতায় নামায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং ভিক্টিমকে উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ছেলে মিলনকে ফিরে পেতে বৃদ্ধা মায়ের আহাজারি

আপডেট সময় ০৬:৪৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
মাদক ব্যাবসায় বাধা দেওয়ায় অপহরণ হতে হল  দুই কন্যা সন্তানের জনক মাহমুদুর রহমান মিলন (৩৬)নামে এক যুবককে। মিলনকে ফিরে পেতে আহাজারি করছেন মিলন’র বৃদ্ধা মা মোছাঃ মেঘনা বেগম’র(৫৫)। ছেলেকে ফিরে পেতেই অপহরণ মামলা দায়ের করণের বৃদ্ধ বাবা মাহবুবুর রহমান (৫৯)। বৃদ্ধ বাবা মায়ের শেষ কালের অন্ধের যষ্টি মিলনকে হারিয়ে প্রায় অনাহারে দিন কাটছে পরিবারের এমন দাবি বৃদ্ধ বাবা-মায়ের।
সরেজমিনে গিয়ে ও রংপুর সদর কোতয়ালী থানার এজাহারের সুত্রে জানা যায়,রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের কুর্শা বলরামপুর গ্রামের মোঃ মোকছেদুর রহমানের পুত্র মোঃ ফুয়াদ মিয়া দির্ঘ্যদিন থেকে মাদক ব্যবাসা করে আসছে। গেলো বছর র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)-১৩ কোম্পানির হাতে মাদক সহ গ্রেপ্তার হন ফুয়াদ। জামিনে বের হয়ে আগের থেকে আর বেশী জমজমাট করে তোলেন নিজের মাদকের সাম্রারাজ্য। সেই মাদক ব্যাবসা বন্ধ করতে বলায় কাল হল দুই কন্যা সন্তানের জনক মাহমুদুর রহমান মিলন সহ কন্যা মোহনা আক্তার (৯) ও মুমু মণি (৩) সহ পুরো পরিবারের।
এজাহার থেকে আরো জানা যায়, গত ১৬-০৭-২০২৫ খ্রিঃ রোজ বুধবার রাত আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকার সময় নিজ বাসা থেকে মিলনকে ডেকে নিয়ে যায় এজারের অভিযুক্ত ফুয়াদ ও তার ছেলে সোহাগ মিয়া। সেই থেকে আর বাড়িতে ফেরা হয়নি মিলনের। ছেলেকে খোজাখোজি করে না পেয়ে গতকাল রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের মোকছেদুল হক’র পুত্র মোঃ  ফুয়াদ মিয়াকে  প্রধান অসামীকরে ফুয়াদ মিয়ার  ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া ও স্ত্রী মোছাঃ সোহাগী বেগম সহ একই গ্রামের মোঃ বাদশা মিয়ার পুত্র মোঃ মোস্তাকিন মিয়ার নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে  একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন পিতা মাহবুবুর রহমান।
মিলনের মা মোছাঃ মেঘনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বাবা মিলন ত্ইু কইরে! আয় বাবা আমার বুকে আয়। আমার বুকের ধনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন বাবা। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা মাদক বন্ধ করার কথা বলায় ফুয়াদ হামার বাপোক তুলি নিয়া গেছে আর হামার কলিজার ধন আমার বুকত্ব ফিরে আসে নাই । তোমরা হামার বাপক আনি দেও বলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তিনি।
মিলনের বাবা মাহবুবুর রহমান বলেন, হামার মিলনের ইনকামে হামার পরিবার চলে। হামার মিলন নাই আমার মুখে খাবারো নাই। হামরা থানার মামলা করছি পুলিশের কাছে দাবি করছি হামার বাবাক তোমরা হামার বুকত্ব ফিরে দেন বলেই অঝড় ধায় কাদতে থাকেন পিতা মাহবুবুর রহমান। অন্য দিকে বাবাকে হাড়িয়ে শোকে কাতর হয়ে গেছেন শিশু কণ্যা মোহনা ও মুমু।
এই ঘটনায় রংপুর সদর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মিলন অপহরণ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৭ জনের অজ্ঞতায় নামায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং ভিক্টিমকে উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে।