ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির যুক্তরাষ্ট্রে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে না চয়নিকার সিনেমায় দেবকে নায়ক হিসেবে চান , নায়িকা কে হবেন? ঢাবিতে যুবক ও জাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান

তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যানের দূর্নীতির প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ

আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন অনিয়ম দূর্নীতি,জমি দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সিপাহিপাড়া বাজার বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় মহাসড়কে এ সমাবেশ হয়।এর আগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।

চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন জমি দখলদার, লুটপাট, অর্থ আত্মাসাত করেছেন দাবী স্থানীয়দের।

ভুক্তভোগী রানা সহ দুই নাবালক সহোদর জানায়, সিপাইপাড়া বাজারের পাশে তাদের বসতভিটা। মিলন চেয়ারম্যান জোর করে জমি দখলে নিয়ে মার্কেট নির্মান করে তাদের অন্যত্র বাড়ি করে দেয়।তারা বসতভিটা ফেরত সহ মিলন চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন।

চতুরাগছের জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমার বাসায় চেয়ারম্যান পুলিশ দিয়ে রেড দেয় কিন্তু বাসায় কিছু পায়নি। ১০মাস পর আমাকে মিথ্যা ইয়াবা মামলায় গ্রেফতার করান এই চেয়ারম্যান এবং এখনো আমি এই মামলায় আদালতে হাজিরা দিচ্ছি। এছাড়াও আরো দুটি মিথ্যা মালমায় আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।আমাকে মিলন চেয়ারম্যান আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

ভুক্তভোগী সাইদুল আলম বলেন, আমাকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মামলা থেকে নাম কেটে দেওয়ার কথা বলে সারে তিন লক্ষ টাকা দাবি করেন। আমি গরু ও জমি বিক্রি করে চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছি কিন্তু কিছুই করেননি। সেই মামলায় আমি এক মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পাই।

সফিউল আলম,ওবায়দুল হক,আশরাফুল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন,এই চেয়ারম্যান যে হারে মানুষের ক্ষতি করেছে অতিষ্ঠ সবাই।দলীয় প্রভাবের কারনে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি।অচিরেই এই চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবী করছি।

আরো পড়ুন : পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সাবেক এমপি

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যানের দূর্নীতির প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেট সময় ০৭:৫২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন অনিয়ম দূর্নীতি,জমি দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সিপাহিপাড়া বাজার বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় মহাসড়কে এ সমাবেশ হয়।এর আগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।

চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন জমি দখলদার, লুটপাট, অর্থ আত্মাসাত করেছেন দাবী স্থানীয়দের।

ভুক্তভোগী রানা সহ দুই নাবালক সহোদর জানায়, সিপাইপাড়া বাজারের পাশে তাদের বসতভিটা। মিলন চেয়ারম্যান জোর করে জমি দখলে নিয়ে মার্কেট নির্মান করে তাদের অন্যত্র বাড়ি করে দেয়।তারা বসতভিটা ফেরত সহ মিলন চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন।

চতুরাগছের জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমার বাসায় চেয়ারম্যান পুলিশ দিয়ে রেড দেয় কিন্তু বাসায় কিছু পায়নি। ১০মাস পর আমাকে মিথ্যা ইয়াবা মামলায় গ্রেফতার করান এই চেয়ারম্যান এবং এখনো আমি এই মামলায় আদালতে হাজিরা দিচ্ছি। এছাড়াও আরো দুটি মিথ্যা মালমায় আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।আমাকে মিলন চেয়ারম্যান আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

ভুক্তভোগী সাইদুল আলম বলেন, আমাকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মামলা থেকে নাম কেটে দেওয়ার কথা বলে সারে তিন লক্ষ টাকা দাবি করেন। আমি গরু ও জমি বিক্রি করে চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছি কিন্তু কিছুই করেননি। সেই মামলায় আমি এক মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পাই।

সফিউল আলম,ওবায়দুল হক,আশরাফুল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন,এই চেয়ারম্যান যে হারে মানুষের ক্ষতি করেছে অতিষ্ঠ সবাই।দলীয় প্রভাবের কারনে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি।অচিরেই এই চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবী করছি।

আরো পড়ুন : পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সাবেক এমপি