ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে আবারো বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩৮) নামক এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তের সুইডাঙ্গা এলাকার বিপরীতে ভারতের খালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।

শনিবার (৮ মার্চ) ভোররাতে আল আমিনসহ ১০-১৫ জনের একটি দলকে ভারতীয় ভাটপাড়া এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল দেখে ফেলে। এ সময় বিএসএফ তাদেরকে ধাওয়া করে তাদের উপর গুলি চালায়। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন গুলিতে নিহত হয়। পরে বিএসএফ তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যায়।

বিজিবি ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।

খবর পেয়ে সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহ ফেরতের আহ্বান জানান।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, বিএসএফের গুলিতে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের ১০-১৫ জন চোরাকারবারি বিএসএফকে আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলেও জানান তিনি। বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ওই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান তালুকদার আর নেই

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পঞ্চগড়ে আবারো বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

আপডেট সময় ০৯:৪৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩৮) নামক এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তের সুইডাঙ্গা এলাকার বিপরীতে ভারতের খালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।

শনিবার (৮ মার্চ) ভোররাতে আল আমিনসহ ১০-১৫ জনের একটি দলকে ভারতীয় ভাটপাড়া এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল দেখে ফেলে। এ সময় বিএসএফ তাদেরকে ধাওয়া করে তাদের উপর গুলি চালায়। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন গুলিতে নিহত হয়। পরে বিএসএফ তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যায়।

বিজিবি ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।

খবর পেয়ে সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহ ফেরতের আহ্বান জানান।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, বিএসএফের গুলিতে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের ১০-১৫ জন চোরাকারবারি বিএসএফকে আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলেও জানান তিনি। বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ওই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।