ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ব্যবহার করে ফসলি জমিতে অবৈধ উপায়ে চা কারখানা নির্মাণ

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ব্যবহার করে আব্দুল হান্নান শেখ সদর উপজেলার শুড়িভিটা এলাকায় নিজের কেনা ১২-১৫ বিঘা দুই-তিন ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করে, চা কারখানা নির্মানের জন্য প্রস্থত করছেন।বিনা অনুমতিতেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ফেলেছেন তাঁর মতো আরো বহু মানুষ।অথচ ভূমি কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ব্যবহার ভিত্তিক শ্রেণি পরিবর্তন না করায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। নির্বিচারে কৃষিজমি ভরাটের কারণে অনেক জায়গায় বর্ষা ও সেচের পানি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান,পঞ্চগড়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান শেখ ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করছে,চা-কারখানা নির্মান করার জন্য।এতে একদিকে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে।অন্যদিকে আবাসিক এলাকায় চা কারখানা হলে পরিবেশ দূষন হবে।চা কারখানা নির্মান বন্ধের দাবী জানান তারা।

জানা গেছে,ফসলি জমি,বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার জমির উন্নয়ন কর আদায় করেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালের কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের (খসড়া আইন)-৪ ধারায় বলা রয়েছে, কৃষিজমি ভরাট করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে।পূর্বানুমতি ছাড়া জমির শ্রেনি পরিবর্তন করা হলে,শ্রেনি পরিবর্তনকারীকে তার নিজ দায়িত্বে জমি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।আইনের ধারায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লংঘন করিলে পাঁচ বছরের দন্ড বা সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করছে এমন অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান শেখ এর সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে, তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটি কেটে দেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোহন মিনজি জানান, কৃষিজমি ভরাট করে বাড়ি কিংবা অন্য কিছু করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। কেউ না নিয়ে থাকলে অপরাধ হবে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে অবশ্যই খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ব্যবহার করে ফসলি জমিতে অবৈধ উপায়ে চা কারখানা নির্মাণ

আপডেট সময় ০৬:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ব্যবহার করে আব্দুল হান্নান শেখ সদর উপজেলার শুড়িভিটা এলাকায় নিজের কেনা ১২-১৫ বিঘা দুই-তিন ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করে, চা কারখানা নির্মানের জন্য প্রস্থত করছেন।বিনা অনুমতিতেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ফেলেছেন তাঁর মতো আরো বহু মানুষ।অথচ ভূমি কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ব্যবহার ভিত্তিক শ্রেণি পরিবর্তন না করায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। নির্বিচারে কৃষিজমি ভরাটের কারণে অনেক জায়গায় বর্ষা ও সেচের পানি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান,পঞ্চগড়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান শেখ ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করছে,চা-কারখানা নির্মান করার জন্য।এতে একদিকে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে।অন্যদিকে আবাসিক এলাকায় চা কারখানা হলে পরিবেশ দূষন হবে।চা কারখানা নির্মান বন্ধের দাবী জানান তারা।

জানা গেছে,ফসলি জমি,বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার জমির উন্নয়ন কর আদায় করেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালের কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের (খসড়া আইন)-৪ ধারায় বলা রয়েছে, কৃষিজমি ভরাট করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে।পূর্বানুমতি ছাড়া জমির শ্রেনি পরিবর্তন করা হলে,শ্রেনি পরিবর্তনকারীকে তার নিজ দায়িত্বে জমি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।আইনের ধারায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লংঘন করিলে পাঁচ বছরের দন্ড বা সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করছে এমন অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান শেখ এর সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে, তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটি কেটে দেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোহন মিনজি জানান, কৃষিজমি ভরাট করে বাড়ি কিংবা অন্য কিছু করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। কেউ না নিয়ে থাকলে অপরাধ হবে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে অবশ্যই খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।