কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বন পরিষ্কার করার ঔষধ বিষ ছিটিয়ে ০৪ বিঘা জমির ধান পুরিয়ে নষ্টের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী এক কৃষক।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ এপ্রিল শনিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ভোটহাট গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শরবত আলীর দাবি জমিজমার স্বত্ব ও বিরোধ থাকায় প্রতিবেশী জোয়াদুল আলম বিরোধের জেরেই প্রতিহিংসায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে ।
স্থানীয়রা জনান, অল্প কিছু দিন পরেই পাকা ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন ভুক্তভুগি কৃষক সহ তারা। অথচ জমিজমা নিয়ে দুই পরিবারের মদ্ধে দীর্ঘ দিনের বিরোধের জেরে রাতের আধারে এতগুলো ফসল বন ধংস করার ঔষধ দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীর দৃষ্টান্ত মুলক বিচারের দাবি জানাই।
শরবত আলী বলেন, ফসল উৎপাদনে ০৪ বিঘা জমিতে অনেক টাকা খরচ করেছি। নিজে শ্রম দিয়েছি। ১৫-২০ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছিলো। প্রতিপক্ষ জোয়াদুল আলম ও তার ছেলে মোন্নাফ হোসেন আমার সব ধান ক্ষেত শেষ করে দিয়েছে ।
তবে মোন্নাফ হোসেন তার বিরোদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঐ ধানি জমিগুলোর প্রকৃত মালিক তার বাবা জোয়াদুল আলম। শরবত আলী ও তার লোকজন জোর করে জমি দখলে করে ধান চাষ করেছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রযেছে। তার দাবি, শরবত আলী নিজেই জমিতেবন ধংস করার বিষ দিয়ে তাদেরকে ফাঁসানের চেষ্টা করছে।
স্বরজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়,বন ধংস করা আগাছা নাশক ছিটিয়ে কৃষকের ০৪ বিঘা জমির ধান খেত নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শীষ থেকে বের হওয়া সবুজ ধান ও পাতা পুড়ে হলুদ হয়ে গেছে। এতে ঐ কৃষকের ধানী জমির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝেও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে ভুক্তভোগী কৃষক শরবত আলী ২০ এপ্রিল, রবিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আঃ জব্বার সাহেবের মুঠোফনে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আইনশৃখলা বাহির তদন্তে আছে। চলতি মৌসম ধান কর্তনের সময় আসন্ন। এ মুহূর্তে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কিছু নেই। বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে।আগামী আমন সিজেনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকে বীজ, সার বা উন্নত জাতের প্রদশর্ণী দিয়ে সহায়তা করা হবে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল হেলাল মাহমুদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।