ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রংপুর সদর উপজেলার ১ নং মমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে।এব্যাপারে রংপুর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা উল্লেখ করে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শামীমা আক্তার সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক কাচারী বাজার শাখা হতে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ২১/০৪/২০২৪ইং তারিখে বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর হতে সঠিকভাবে পরিচালনা না করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি করেই যাচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলে নেই, তিনি ১ দিনের ছুটিতে আসেন। অভিযোগ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অনান্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রথমে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে তুলে ধরেন প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শামীমা আক্তারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের “বেয়াদব” ও “চোর” প্রভৃতি, গায়ের রং নিয়ে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য, স্বামীর বেতনের সাথে সহকর্মীদের বেতন তুলনা করে কটূক্তি, শিক্ষকদের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা নিয়ে তুচ্ছ করা, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া নিজ বাসায় রেখে শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে না দেওয়া, বিদ্যালয়ের কর্মঘণ্টা শুরুর আগে স্বাক্ষর করে চলে যাওয়া, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে পূর্বের ও পরের দিনের স্বাক্ষর একই দিনে করা, অস্থায়ী গৃহ নির্মাণ, ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপের অর্থসহ বিভিন্ন বাজেটের অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন, স্লিপ প্রণয়ন, কর্ম পরিকল্পনা ইত্যাদি কোন বিষয়ে সহকারী শিক্ষকগণের সাথে আলোচনা না করা এবং কোন রকম স্টাফ মিটিং না করা সহ অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়।এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই।
এবিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শামীমা আক্তার মুটো ফোনে কথা  হলে চেক জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন  আমি আজ ছুটিতে আছি। আমি বাইরে আছি এখন কথা বলতে পারব নানা।
এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি, আজাহার আলী মাস্টার জানান, বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা ও উত্তোলনের বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি স্বাক্ষর করেনি। যদি আমার স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয় তাহলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করি এবং আমি সত্য ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে চাবো কোথাও কোন দূর্নীতি পাওয়া পেলে এর সঠিক বিচার হবে।
এই বিষয়ে রংপুর সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সতত্যা পেলে আমরা বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

রংপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
রংপুর সদর উপজেলার ১ নং মমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে।এব্যাপারে রংপুর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা উল্লেখ করে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শামীমা আক্তার সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক কাচারী বাজার শাখা হতে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ২১/০৪/২০২৪ইং তারিখে বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর হতে সঠিকভাবে পরিচালনা না করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি করেই যাচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলে নেই, তিনি ১ দিনের ছুটিতে আসেন। অভিযোগ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অনান্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রথমে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে তুলে ধরেন প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শামীমা আক্তারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের “বেয়াদব” ও “চোর” প্রভৃতি, গায়ের রং নিয়ে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য, স্বামীর বেতনের সাথে সহকর্মীদের বেতন তুলনা করে কটূক্তি, শিক্ষকদের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা নিয়ে তুচ্ছ করা, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া নিজ বাসায় রেখে শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে না দেওয়া, বিদ্যালয়ের কর্মঘণ্টা শুরুর আগে স্বাক্ষর করে চলে যাওয়া, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে পূর্বের ও পরের দিনের স্বাক্ষর একই দিনে করা, অস্থায়ী গৃহ নির্মাণ, ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপের অর্থসহ বিভিন্ন বাজেটের অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন, স্লিপ প্রণয়ন, কর্ম পরিকল্পনা ইত্যাদি কোন বিষয়ে সহকারী শিক্ষকগণের সাথে আলোচনা না করা এবং কোন রকম স্টাফ মিটিং না করা সহ অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়।এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই।
এবিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শামীমা আক্তার মুটো ফোনে কথা  হলে চেক জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন  আমি আজ ছুটিতে আছি। আমি বাইরে আছি এখন কথা বলতে পারব নানা।
এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি, আজাহার আলী মাস্টার জানান, বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা ও উত্তোলনের বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি স্বাক্ষর করেনি। যদি আমার স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয় তাহলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করি এবং আমি সত্য ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে চাবো কোথাও কোন দূর্নীতি পাওয়া পেলে এর সঠিক বিচার হবে।
এই বিষয়ে রংপুর সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সতত্যা পেলে আমরা বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।