রংপুর জেলাধীন সদর উপজেলার সদ্যপুস্কিরিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো সোহেল রানা’র যেন জমিদারী যেন ইউনিয়ন পরিষদটি। তার এক দাপটের সাথে চলছে আসছে। তিনি অফিসে চাবি নিজের দখলে রেখেছেন। দিনের বেলায় অফিস না করলেও সন্ধার পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত পাওয়া যায় সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন কমপ্লেক্স এর ২য় তলার আর পার্সোনাল বিশ্রামাগার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল রানা অফিসে উপস্থিত নেই । ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার রুম খোলা থাকলেও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল রানার রুমে ঝুলছিল তালা। আর সেবা নিতে আসা গ্রহকদের বাইরে একটি টেবিলের উপরে বসে সেবা প্রদান করছিল প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আনারুল ইসলাম।
সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতারা প্রতিবেদককে বলেন, আমরা সেবা নিতে এসে চেয়ারম্যানের দেখাই পাই না। সব সময় দেখি তার অফিসে তালা ঝুলছে। এতে করে আমাদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষর নিতেই দিনের পর দিন ঘুড়তে হয়।এখানে মেম্বার দের ও নিদিষ্ট রুম নেই তাই তাদেরো চায়ের দোকান বা বাজারে খুজে নিতে হয়। আমরা সেবা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি বলে দাবি করেন সেবা গ্রহীতারা।
এই বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আনারুল ইসলাম বলেন, আমাদের জন্য নিদিষ্ট যে রুমটি ছিল সেটি এখন বিট পুলিশরা ব্যবহার করছেন। আমরা চায়ের দোকান বা আামাদের সচিব ভাইয়ের অফিসে বসে আমাদের কাজ গুলো করে থাকি। যেহেতু আমাদের কোন রুম নেই আর চেযারম্যান সাহেব তার রুমে তালা দিয়ে গেছেন তাই আমি সেবাগ্রহীতাদের হয়রানী থেকে বাচাতেই টেবিলের উপর বসে সেবা দিচ্ছি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের বসার জায়গা নাই আমরা এই ভাবে সেবা দিব না তো কি করব বলেন। কারণ জনগণের ভোটেই তো আমরা নির্বাচিত হয়ে এসেছি। তাই তাদের সেবাটা আমরা কষ্ট করে হলেও দেবার চেষ্টা করছি বলে দাবী করেন প্যানেল চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম।
এই ঘটনায় সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল রানার সাথে মুটো ফোনে বার বার যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অন্য দিকে সেবাগ্রহীতা সহ সদ্যপুনস্করিনী ইউয়িন পরিষদে আসা সেবাগ্রহীতা ও এলাকাবাসী আরো বলেন, এই ভাবে আর কত সেবার নিতে এসে ভোগান্তির শিকাড় হবে সেবাগ্রহীতারা। সেবা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার), বিভাগীয় কমিশনার সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।