সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার সোনামুখি ইউনিয়নে স্থলবাড়ি বাজারে বিএনপির ক্লাবে আগুন দিয়ে পোড়ানো এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় নিজের শরীরে নিজেই ব্লেটের আঁচড় দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এলাকার প্রায় ৪৬ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আসামি করে পর পর কাজিপুর থানায় তিনটি এবং সিরাজগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
গত বৃহস্পতিবার ৫ ই জুন ২০২৫ ইং সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাজিপুর সোনামুখি ইউনিয়নের পাঁচগাছি গ্রামের মোঃ দারাজ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজ, অবৈধ মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি সহ নানা ধরনের কাজের সাথে জড়িত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ভিডিও ও কল রেকর্ডে বলেন জাহিদুল ইসলাম সোনামুখি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাদের একটি চক্র বিভিন্ন সময় নানাভাবে নিরীহ মানুষকে মামলা হামলার হুমকি দিয়ে হয়রানী করে চলছে। এটা প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ – তা না হলে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
এদিকে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, জাহিদুলের দায়ের করা মামলা সঠিক নয়, সবই মিথ্যা, আর আমাদের এলাকার বিষয় আমরা সমাধান করে নিবো। তাকে এসব মিথ্যা মামলা তুলে আনতে বলছি। এভাবে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে দাপট দেখিয়ে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অপর দিকে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ঘটনার সত্যতা আমি কি বলবো। মামলার সাক্ষী যারা আছেন তাদের জিজ্ঞেস করেন।
এসব বিষয়ে জাহিদের মামা আব্দুল আলিমও এই অবৈধভাবে চাঁদাবাজি চক্রে জড়িত আছে বলে অভিযোগের ভিত্তিতে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা এবং আমিও তার মামলায় এক নং আসামি। পরে আমাকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি মামলায় এক নং আসামি থেকে নাম বাদ পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি। এতে কৌশলগত ভাবে আলিম এই চক্রের সাথে জড়িত আছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
এবিষয়ে জাহিদুলের দায়ের করা চার টি মামলায় মোট ৪৬ জন আসামি সহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ খুব দ্রূতই এর সমাধান চেয়ে প্রসাশনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।