ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়গঞ্জে খামারিকে মারপিট করে মুরগিসহ মালামাল লুট

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাঙ্গাসী ইউনিয়ন এর মনোহর পুর গ্রামে খামারিকে মারপিট করে বারোশত মুরগী সহ খাদ্য ও মেডিসিন লুটপাট করা হয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, গত  ২০শে মার্চ ২০২৫ ইং মনোহর পুর গ্রামের মোতালেব আকন্দ (২৬) পিতা রফিকুল ইসলাম তার নিজ মুরগির খামারে কাজ করার জন্য যাওয়ার সময় খামারের পাশে একই গ্রামের জিয়া (৪৮) নামক ব্যাক্তি  পিতা মৃত নিজাম আকন্দ, তার ছেলে সেলিম (২০) রাসেল (১৭) স্ত্রী শিল্পী (৩৮) উভয় পূর্ব শত্রতার জের ধরে অতর্কিত মোতালেব এর উপর হামলা চালিয়ে কিল, ঘুশি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারপিট করেছে এবং ঐ রাতেই  খামারে থাকা মুরগী, খাদ্য, মেডিসিন সহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে  বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
এ বিষয়ে মোতালেব আকন্দ বলেন, গত কয়েক দিন আগে জিয়াগং পূর্ব শত্রতার জেরে আমার খামারে যাওয়ার রাস্তা কেটে ফেলায় আমি প্রতিবাদ করায় আমার উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমি ও আমার পরিবারের লোকজনে খুনজখম ও মামলা হামলা এবং হত্যার হুমকি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় খামারে কাজ করার জন্য যাওয়ার সময় জিয়া ও তার দুই ছেলে ও স্ত্রী উভয় আমাকে মারপিট করে, পরে আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ওরা বীরত্বের সাথে চলে যায়। এবং আমার খামার থেকে আমার বাড়ি এক কিলোমিটার দূরে প্রয়োজনীয় কাজে  আসলে ঐ দিনই রাতে খামারের বারোশত মুরগী, পনেরো বস্তুা খাদ্য, বাইশ হাজার টাকার ওষুধ লুটপাট করে নিয়ে যায় জিয়াগং।
এদিকে সেহরির একটু আগে খামারে গিয়ে লুটপাটের দৃশ্য দেখে রাতেই  চাচা আবদুল হালিম ও তার স্ত্রী ফরিদাকে দেখাই পরে গ্রামের মুরুব্বিদের বিষয়টি অবগত করি। অন্য দিকে জিয়াগং এর সাথে আমার কিছুদিন আগের একটি মামলা এখনও চলমান রয়েছে মামলা নং ৭৫/২০২৪ ইং।মোতালেব আরও বলেন   জিয়া চার নং ওয়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে   এই  জিয়া বাহিনী আমাকে মারপিট করেছে ও আমার খামারে লুটপাট করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে।  জিয়াগং একটি সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও লাঠিয়াল বাহিনী এবং দাঙ্গাবাজ। আমি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে সঠিক বিচার চাই এবং সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ  জিয়া বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে  শাস্তি দাবি করি। এদিকে সংবাদ প্রকাশের আগপর্যন্ত থানায় নতুন করে কোন মামলা করা হয়নি তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে জিয়ার সাথে কথা বল্লে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রায়গঞ্জে খামারিকে মারপিট করে মুরগিসহ মালামাল লুট

আপডেট সময় ১২:১০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাঙ্গাসী ইউনিয়ন এর মনোহর পুর গ্রামে খামারিকে মারপিট করে বারোশত মুরগী সহ খাদ্য ও মেডিসিন লুটপাট করা হয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, গত  ২০শে মার্চ ২০২৫ ইং মনোহর পুর গ্রামের মোতালেব আকন্দ (২৬) পিতা রফিকুল ইসলাম তার নিজ মুরগির খামারে কাজ করার জন্য যাওয়ার সময় খামারের পাশে একই গ্রামের জিয়া (৪৮) নামক ব্যাক্তি  পিতা মৃত নিজাম আকন্দ, তার ছেলে সেলিম (২০) রাসেল (১৭) স্ত্রী শিল্পী (৩৮) উভয় পূর্ব শত্রতার জের ধরে অতর্কিত মোতালেব এর উপর হামলা চালিয়ে কিল, ঘুশি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারপিট করেছে এবং ঐ রাতেই  খামারে থাকা মুরগী, খাদ্য, মেডিসিন সহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে  বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
এ বিষয়ে মোতালেব আকন্দ বলেন, গত কয়েক দিন আগে জিয়াগং পূর্ব শত্রতার জেরে আমার খামারে যাওয়ার রাস্তা কেটে ফেলায় আমি প্রতিবাদ করায় আমার উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমি ও আমার পরিবারের লোকজনে খুনজখম ও মামলা হামলা এবং হত্যার হুমকি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় খামারে কাজ করার জন্য যাওয়ার সময় জিয়া ও তার দুই ছেলে ও স্ত্রী উভয় আমাকে মারপিট করে, পরে আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ওরা বীরত্বের সাথে চলে যায়। এবং আমার খামার থেকে আমার বাড়ি এক কিলোমিটার দূরে প্রয়োজনীয় কাজে  আসলে ঐ দিনই রাতে খামারের বারোশত মুরগী, পনেরো বস্তুা খাদ্য, বাইশ হাজার টাকার ওষুধ লুটপাট করে নিয়ে যায় জিয়াগং।
এদিকে সেহরির একটু আগে খামারে গিয়ে লুটপাটের দৃশ্য দেখে রাতেই  চাচা আবদুল হালিম ও তার স্ত্রী ফরিদাকে দেখাই পরে গ্রামের মুরুব্বিদের বিষয়টি অবগত করি। অন্য দিকে জিয়াগং এর সাথে আমার কিছুদিন আগের একটি মামলা এখনও চলমান রয়েছে মামলা নং ৭৫/২০২৪ ইং।মোতালেব আরও বলেন   জিয়া চার নং ওয়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে   এই  জিয়া বাহিনী আমাকে মারপিট করেছে ও আমার খামারে লুটপাট করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে।  জিয়াগং একটি সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও লাঠিয়াল বাহিনী এবং দাঙ্গাবাজ। আমি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে সঠিক বিচার চাই এবং সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ  জিয়া বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে  শাস্তি দাবি করি। এদিকে সংবাদ প্রকাশের আগপর্যন্ত থানায় নতুন করে কোন মামলা করা হয়নি তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে জিয়ার সাথে কথা বল্লে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।