ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারে চলন্ত বাসে স্বর্ণালংকার-মোবাইল লুট, ছুরিকাঘাতে আহত ৪

ঢাকার সাভার উপজেলায় যাত্রীবেশে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করেছে। এ সময় বাধা দিলে ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে চারজন আহত হন। তবে ঘটনাটিকে ছিনতাই বলে দাবি পুলিশের।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রেডিও কলোনি এলাকা থেকে সি অ্যান্ড বি ও ডেইরি গেইট এলাকার মাঝামাঝি ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার দে।

খবর পেয়ে মহাসড়কের বিশমাইল এলাকা থেকে ওই বাসের চালক ও সহকারীকে আটক করেছে একদল শিক্ষার্থী। তবে তাদের নাম পরিচয় যাওয়া যায়নি।

যাত্রীদের মধ্যে শামীম হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শামীম আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ঢাকার একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন।

তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া বাকি আহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসান মাহবুব।

বাসের যাত্রী পোশাক শ্রমিক হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি উলাইল স্ট্যান্ড থেকে ওয়েলকাম পরিবহনের বাসে উঠি। সামনে মহিলাদের আসনে বসা তিন যাত্রীর সঙ্গে বসলে, তারা আমাকে জানালার পাশের সিটে বসতে বলেন।

“তাদের কথামত জানালার পাশের সিটে বসার কিছুক্ষণ পর ওই তিনজন ধারাল অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তারা যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে আতঙ্কে বাসের অন্য যাত্রীরা যার কাছে যা ছিল সব তাদের দিয়ে দেয়।”

ছুরিকাঘাতে আহত শামীম হোসেনের ভায়রা মিজানুর রহমান বলেন, “যারা টাকাসহ মূল্যবান মালামাল দিতে চায়নি তাদেরকে ছুরিকাঘাত করেছে ডাকাতরা। সব লুট করে নেওয়ার পর সি অ্যান্ড বি এলাকার ইউটার্নে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।”

সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক সওগাতুল আলম ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানান।

তবে আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার দে বলেন, “ঘটনার পর বিশমাইল এলাকায় ছাত্ররা ওই বাসের চালক ও তার সহকারীকে আটক করেছে। ঘটনাটি মূলত সাভার এলাকায়। তাই সাভার থানাকে অবহিত করেছি।”

তবে ওই বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, ডাকাতি নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।

সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া বলেন, ডাকাতির ঘটনার একটি ম্যাসেজ পেয়েছেন তিনি। তবে সুনির্দিষ্ট কেউ কোনো অভিযোগ করেন নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সাভারে চলন্ত বাসে স্বর্ণালংকার-মোবাইল লুট, ছুরিকাঘাতে আহত ৪

আপডেট সময় ১১:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকার সাভার উপজেলায় যাত্রীবেশে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করেছে। এ সময় বাধা দিলে ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে চারজন আহত হন। তবে ঘটনাটিকে ছিনতাই বলে দাবি পুলিশের।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রেডিও কলোনি এলাকা থেকে সি অ্যান্ড বি ও ডেইরি গেইট এলাকার মাঝামাঝি ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার দে।

খবর পেয়ে মহাসড়কের বিশমাইল এলাকা থেকে ওই বাসের চালক ও সহকারীকে আটক করেছে একদল শিক্ষার্থী। তবে তাদের নাম পরিচয় যাওয়া যায়নি।

যাত্রীদের মধ্যে শামীম হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শামীম আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ঢাকার একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন।

তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া বাকি আহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসান মাহবুব।

বাসের যাত্রী পোশাক শ্রমিক হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি উলাইল স্ট্যান্ড থেকে ওয়েলকাম পরিবহনের বাসে উঠি। সামনে মহিলাদের আসনে বসা তিন যাত্রীর সঙ্গে বসলে, তারা আমাকে জানালার পাশের সিটে বসতে বলেন।

“তাদের কথামত জানালার পাশের সিটে বসার কিছুক্ষণ পর ওই তিনজন ধারাল অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তারা যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে আতঙ্কে বাসের অন্য যাত্রীরা যার কাছে যা ছিল সব তাদের দিয়ে দেয়।”

ছুরিকাঘাতে আহত শামীম হোসেনের ভায়রা মিজানুর রহমান বলেন, “যারা টাকাসহ মূল্যবান মালামাল দিতে চায়নি তাদেরকে ছুরিকাঘাত করেছে ডাকাতরা। সব লুট করে নেওয়ার পর সি অ্যান্ড বি এলাকার ইউটার্নে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।”

সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক সওগাতুল আলম ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানান।

তবে আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার দে বলেন, “ঘটনার পর বিশমাইল এলাকায় ছাত্ররা ওই বাসের চালক ও তার সহকারীকে আটক করেছে। ঘটনাটি মূলত সাভার এলাকায়। তাই সাভার থানাকে অবহিত করেছি।”

তবে ওই বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, ডাকাতি নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।

সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া বলেন, ডাকাতির ঘটনার একটি ম্যাসেজ পেয়েছেন তিনি। তবে সুনির্দিষ্ট কেউ কোনো অভিযোগ করেন নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক