ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবি, গীতিকার এবং ছড়াকার এম.আর. মনজু

  • তরুন রাসেল
  • আপডেট সময় ০৭:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 25

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার অদম্য ক্ষমতা সম্পন্ন সাহসী মানুষ কবি এম আর মনজু । একজন গানের মানুষ সুরের মানুষ তিনি । একাধারে কবি, গীতিকার, ছড়াকার ও সংগঠক । এম আর মনজুর পুরো নাম মাকসুদুর রহমান মনজু । জন্ম ১০ নভেম্বর ১৯৫৬, তার পিতার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নয়াপুর গ্রামে। স্থায়ী নিবাস গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার মৈশন গ্রামে।

বড় বোন এম,এস,নাহার খন্দকারের দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির সাথে যুক্ত হন। তার প্রথম লেখা প্রকাশ পায় ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে প্রকাশিত কাকলি নামক ছড়া সংকলনে । এরপর থেকেই নিয়মিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার লেখা ছড়া কবিতা প্রকাশ হতে থাকে । এছাড়া তার লেখা অসংখ্য গান বিভিন্ন শিল্পীদের কণ্ঠে প্রচার হয় বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে ।

১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম তার লেখা গান মানবজনমে আর হবে না বিশিষ্ট সুরকার আবু তাহের চিশতীর সুরে শিল্পী মিনা বড়ুয়ার কণ্ঠে রেকর্ড করে প্রচার করা হয় । সাম্য দর্শন এই গানের মানুষটি গান, কবিতা ও ছড়া রচনায় এ পর্যন্ত শতাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতের কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের অতন্দ্র সংগঠনের কবি গোবিন্দ হালদার স্মৃতি পদক-২০০৯, ভারতের চব্বিশ পরগনা থেকে আলো আভাষ সাহিত্য সম্মাননা, নেপালের ক্রিয়েটিভ রাইটার্স সম্মাননা এবং বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পদক , ভাসানি স্মৃতি পদক ও সরগম ললিত কলা একাডেমী সম্মাননা, মায়ের আঁচল সম্মাননা পদক , কবি সংসদ বাংলাদেশ সম্মাননা পদক এবং শুভজন গুণীজন সম্মাননা পদকসহ আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা ।

এম আর মনজুর বিভিন্ন সাহিত্য রচনার মধ্যে সময়ের কাছে নামক একটি কবিতার বই, হাউ কাউ , কড়রা কড়রা ছড়া , কাড়াকাড়ি , ও রোমান্টিক ছড়ার বই সন্ত্রাসী বউ এবং লক্ষ্মী বউ সহ ৭ টি ছড়ার বই এবং শিশুদের জন্য গল্পের বই ‘বাজারের ব্যাগ’সহ মোট ৯ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ।

কবি ও ছড়াকার এম আর মনজু একসময় স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক আজদের সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই পদে ছিলেন দৈনিক জনপদ ও দৈনিক সমাচার পত্রিকায় এবং দৈনিক সমাচারের শিশুদের পাতা ফুলকলিদের আসর এর পরিচালক ছিলেন তিনি । তাছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকার শিশুদের পাতা মুকুলের মাহফিল এর পরিচালক হিসাবে দীর্ঘদিন ।যেটির সর্বপ্রথম পরিচালক ছিলেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন ।

বর্তমানে এম আর মনজু জাতীয় গীতিকবি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং এম আর মনজু সাংস্কৃতিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন । একই সাথে শুদ্ধ ধারার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংগঠন শুভজনের সাংগঠনিক উপদেষ্টা এবং মায়ের আঁচল এর উপদেষ্টা।

বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার, ছড়াকার এম আর মনজু’র সাহিত্য ও গান রচনায় অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন তার মা মরহুমা রাবিয়া খাতুন, বাবা মরহুম সাহাবুদ্দিন এবং বড় বোন নাহার খন্দকার । আর বর্তমানে তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে চলছেন তার জীবন সঙ্গিনী মমতাজ রহমান।

আসছে ১০ নভেম্বর ছড়া ও ছন্দের মানুষ এম আর মনজু’র ৬৯তম জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে কামনা করি আরও দীর্ঘকাল তিনি বেঁচে থাকুন আমাদের মাঝে, ছড়িয়ে যাক আরও আলো এই প্রত্যাশা নিরন্তর । তাঁর প্রতি রইলো অশেষ শ্রদ্ধা ও শুভকামনা ।

 

আরো পড়ুন : তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক; রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

কবি, গীতিকার এবং ছড়াকার এম.আর. মনজু

আপডেট সময় ০৭:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার অদম্য ক্ষমতা সম্পন্ন সাহসী মানুষ কবি এম আর মনজু । একজন গানের মানুষ সুরের মানুষ তিনি । একাধারে কবি, গীতিকার, ছড়াকার ও সংগঠক । এম আর মনজুর পুরো নাম মাকসুদুর রহমান মনজু । জন্ম ১০ নভেম্বর ১৯৫৬, তার পিতার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নয়াপুর গ্রামে। স্থায়ী নিবাস গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার মৈশন গ্রামে।

বড় বোন এম,এস,নাহার খন্দকারের দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির সাথে যুক্ত হন। তার প্রথম লেখা প্রকাশ পায় ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে প্রকাশিত কাকলি নামক ছড়া সংকলনে । এরপর থেকেই নিয়মিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার লেখা ছড়া কবিতা প্রকাশ হতে থাকে । এছাড়া তার লেখা অসংখ্য গান বিভিন্ন শিল্পীদের কণ্ঠে প্রচার হয় বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে ।

১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম তার লেখা গান মানবজনমে আর হবে না বিশিষ্ট সুরকার আবু তাহের চিশতীর সুরে শিল্পী মিনা বড়ুয়ার কণ্ঠে রেকর্ড করে প্রচার করা হয় । সাম্য দর্শন এই গানের মানুষটি গান, কবিতা ও ছড়া রচনায় এ পর্যন্ত শতাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতের কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের অতন্দ্র সংগঠনের কবি গোবিন্দ হালদার স্মৃতি পদক-২০০৯, ভারতের চব্বিশ পরগনা থেকে আলো আভাষ সাহিত্য সম্মাননা, নেপালের ক্রিয়েটিভ রাইটার্স সম্মাননা এবং বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পদক , ভাসানি স্মৃতি পদক ও সরগম ললিত কলা একাডেমী সম্মাননা, মায়ের আঁচল সম্মাননা পদক , কবি সংসদ বাংলাদেশ সম্মাননা পদক এবং শুভজন গুণীজন সম্মাননা পদকসহ আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা ।

এম আর মনজুর বিভিন্ন সাহিত্য রচনার মধ্যে সময়ের কাছে নামক একটি কবিতার বই, হাউ কাউ , কড়রা কড়রা ছড়া , কাড়াকাড়ি , ও রোমান্টিক ছড়ার বই সন্ত্রাসী বউ এবং লক্ষ্মী বউ সহ ৭ টি ছড়ার বই এবং শিশুদের জন্য গল্পের বই ‘বাজারের ব্যাগ’সহ মোট ৯ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ।

কবি ও ছড়াকার এম আর মনজু একসময় স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক আজদের সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই পদে ছিলেন দৈনিক জনপদ ও দৈনিক সমাচার পত্রিকায় এবং দৈনিক সমাচারের শিশুদের পাতা ফুলকলিদের আসর এর পরিচালক ছিলেন তিনি । তাছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকার শিশুদের পাতা মুকুলের মাহফিল এর পরিচালক হিসাবে দীর্ঘদিন ।যেটির সর্বপ্রথম পরিচালক ছিলেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন ।

বর্তমানে এম আর মনজু জাতীয় গীতিকবি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং এম আর মনজু সাংস্কৃতিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন । একই সাথে শুদ্ধ ধারার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংগঠন শুভজনের সাংগঠনিক উপদেষ্টা এবং মায়ের আঁচল এর উপদেষ্টা।

বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার, ছড়াকার এম আর মনজু’র সাহিত্য ও গান রচনায় অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন তার মা মরহুমা রাবিয়া খাতুন, বাবা মরহুম সাহাবুদ্দিন এবং বড় বোন নাহার খন্দকার । আর বর্তমানে তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে চলছেন তার জীবন সঙ্গিনী মমতাজ রহমান।

আসছে ১০ নভেম্বর ছড়া ও ছন্দের মানুষ এম আর মনজু’র ৬৯তম জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে কামনা করি আরও দীর্ঘকাল তিনি বেঁচে থাকুন আমাদের মাঝে, ছড়িয়ে যাক আরও আলো এই প্রত্যাশা নিরন্তর । তাঁর প্রতি রইলো অশেষ শ্রদ্ধা ও শুভকামনা ।

 

আরো পড়ুন : তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক; রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ