ঢাকা ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন ঢাকা কার্যালয়ে  উপর মহলের কয়েকজন  কর্মকর্তা ও  কর্মচারী নিয়োগ ও প্রায় ২০ ( বিশ) লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় ২০০৩-২০০৪ ডিসেম্বর ০৩ পর্যন্ত ও ০১-০১-২০০৪- ৩১-১২-২০০৬ ইং এম, খাদেমুল ইসলাম চীফ অডিটর স্বাক্ষরিত ২ ( দুটি)  অডিট প্রতিবেদনে এসব অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য উঠে আসে এবং তা প্রতিবেদনে বাস্তব রূপে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।
২০০৩-২০০৪ এর প্রতিবেদনে দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় গত ১৩-১০-২০০৩ ইং তারিখে  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাতে যে সকল শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়, সে শর্ত অনুযায়ী নিয়োগ কাযর্ক্রম সম্পন্ন করা হয়নি। যেমন ২ (দুটি) শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির স্থলে ৩ (তিনটি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবং  নিম্ন পদ হতে এক ধাপ ডিঙ্গিয়ে উঁচু পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । আবার সেই  নিয়োগে প্রার্থীদের স্কোর সীট, আবেদনকারিদের পুর্নাঙ্গ তালিকা এবং বাছাই কমিটির সুপারিশ পত্রের হদিস নেই। এছাড়াও প্রার্থীর বয়স প্রমানে  এসএসসি সনদ ও মেডিকেল ফিটনেস সনদ গ্রহন করা হয়নি। এরপরও প্রশিক্ষণ বিষয়েও ব্যপক অনিয়ম দূর্নীতির প্রমাণ অডিট প্রতিবেদনের পনেরো থেকে  সতেরো পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৪-২০০৬ এর অডিট প্রতিবেদনে ১৩ অক্টোবর ২০০৩ ইং নিয়োগ বিগপ্তিতে কোন স্বীকৃত ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হলেও ফাতেমা খাতুন ও মুনকাছিম বিল্লাহ, আব্দুলা আল মামুন খান, মোঃ আবু সাইদ এর ঋণদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানের কাজের অভিজ্ঞতার সনদ না থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবার জাকির হোসেনে তিন বছরের জায়গায় অভিজ্ঞতা মাত্র ৬ মাস ১৪ দিন।
সাবেরা সুলতানা (০২৭৫৭), ফজিলাতুন্নেছা (০২৮৩৬) ফৌজিয়া বেগম (০২৮৩৫), এদের নিয়োগ পত্রের শর্তঅনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তারপরেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবং ফাতেমা খাতুন (০৩১৯৪) পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কতৃক বাস্তবায়নাধীন “পল্লী রং” প্রকল্পের বিগত  জানু/ ২০১৭ ইং হতে ডিসেম্বর ২০২২ ইং পর্যন্ত পূনাঙ্গ নীরিক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এখনো বহাল তবিয়তে প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। শরিফ মোহাম্মদ, সোহরাব মশিউল আলম, শফিকুল আলম সহ অনেকই চুড়ান্ত ছাড়পত্র গ্রহন না করা সত্বেও চাকরী স্থায়ীকরণ করা হয়েছে।  এসব অনেক অনিয়ম দূর্নীতির পাহাড় মাধায় নিয়ে নিরাপদে বসে আছে  পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন এর প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মচারী কর্মকর্তাগণ।
এবিষয়ে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মউদুদউর রসীদ সফদার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:৪৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন ঢাকা কার্যালয়ে  উপর মহলের কয়েকজন  কর্মকর্তা ও  কর্মচারী নিয়োগ ও প্রায় ২০ ( বিশ) লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় ২০০৩-২০০৪ ডিসেম্বর ০৩ পর্যন্ত ও ০১-০১-২০০৪- ৩১-১২-২০০৬ ইং এম, খাদেমুল ইসলাম চীফ অডিটর স্বাক্ষরিত ২ ( দুটি)  অডিট প্রতিবেদনে এসব অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য উঠে আসে এবং তা প্রতিবেদনে বাস্তব রূপে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।
২০০৩-২০০৪ এর প্রতিবেদনে দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় গত ১৩-১০-২০০৩ ইং তারিখে  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাতে যে সকল শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়, সে শর্ত অনুযায়ী নিয়োগ কাযর্ক্রম সম্পন্ন করা হয়নি। যেমন ২ (দুটি) শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির স্থলে ৩ (তিনটি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবং  নিম্ন পদ হতে এক ধাপ ডিঙ্গিয়ে উঁচু পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । আবার সেই  নিয়োগে প্রার্থীদের স্কোর সীট, আবেদনকারিদের পুর্নাঙ্গ তালিকা এবং বাছাই কমিটির সুপারিশ পত্রের হদিস নেই। এছাড়াও প্রার্থীর বয়স প্রমানে  এসএসসি সনদ ও মেডিকেল ফিটনেস সনদ গ্রহন করা হয়নি। এরপরও প্রশিক্ষণ বিষয়েও ব্যপক অনিয়ম দূর্নীতির প্রমাণ অডিট প্রতিবেদনের পনেরো থেকে  সতেরো পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৪-২০০৬ এর অডিট প্রতিবেদনে ১৩ অক্টোবর ২০০৩ ইং নিয়োগ বিগপ্তিতে কোন স্বীকৃত ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হলেও ফাতেমা খাতুন ও মুনকাছিম বিল্লাহ, আব্দুলা আল মামুন খান, মোঃ আবু সাইদ এর ঋণদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানের কাজের অভিজ্ঞতার সনদ না থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবার জাকির হোসেনে তিন বছরের জায়গায় অভিজ্ঞতা মাত্র ৬ মাস ১৪ দিন।
সাবেরা সুলতানা (০২৭৫৭), ফজিলাতুন্নেছা (০২৮৩৬) ফৌজিয়া বেগম (০২৮৩৫), এদের নিয়োগ পত্রের শর্তঅনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তারপরেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবং ফাতেমা খাতুন (০৩১৯৪) পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কতৃক বাস্তবায়নাধীন “পল্লী রং” প্রকল্পের বিগত  জানু/ ২০১৭ ইং হতে ডিসেম্বর ২০২২ ইং পর্যন্ত পূনাঙ্গ নীরিক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এখনো বহাল তবিয়তে প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। শরিফ মোহাম্মদ, সোহরাব মশিউল আলম, শফিকুল আলম সহ অনেকই চুড়ান্ত ছাড়পত্র গ্রহন না করা সত্বেও চাকরী স্থায়ীকরণ করা হয়েছে।  এসব অনেক অনিয়ম দূর্নীতির পাহাড় মাধায় নিয়ে নিরাপদে বসে আছে  পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন এর প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মচারী কর্মকর্তাগণ।
এবিষয়ে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মউদুদউর রসীদ সফদার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই।
আরো পড়ুন : রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় জনতার হাতে দুই গরুচোর আটক