ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে কলেজের গ্রন্থাগারিক পদে চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিএন কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে। টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ফাতেমা বেগম নামে একজন ভূক্তভোগী নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একটি স্থানীয় পত্রিকায় উপজেলার ডিএন কলেজে গ্রন্থাগারিক পথে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে তার ছেলে ফারুক আহমেদ ওই পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। পরে কলেজের অধ্যক্ষ তার ছেলের চাকুরি দেয়ার নিশ্চয়তা দেন এবং কলেজের উন্নয়নের স্বার্থে ফারুক আমদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। এতে গরু ছাগল জমি বন্ধক ও মহাজন করেন কয়েক দফায় ২০ লাখ টাকা গোপাল চন্দ্র রায়কে দেন তিনি।
এর ফাঁকে ফারুককে গ্রন্থাগারিক কোর্স করার জন্য ঢাকার একটি কলেজে নিজেই ভর্তি করান গোপাল চন্দ্র রায়। পরে তিনি আবারো আরো টাকা দাবি করলে তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। টাকার জোগাড় করতে ছেলেকে বিয়ে করানোর পরামর্শও দেন অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়। ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর নিয়োগ দিতে টালবাহানা করতে থাকেন তিনি। চাকরি না দেওয়ায় টাকা ফেরত চান তিনি। টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন গোপাল চন্দ্র রায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন এবং বাকি টাকা কয়েকদিনের মধ্যে ফেরত দিবেন বলে অঙ্গিকার করেন অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়। বাকি টাকা পরবর্তীতে ফেরত দিতে চাইলেও এখন পর্যন্ত ফেরত দিচ্ছেন না তিনি। দিনের পর দিন তাদের ঘুরাচ্ছেন।
অভিযোগ বিষয়ে ডিএন কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নিউজ করার মতো কোন বিষয় থাকলে করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম বলেন, ডিএন কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করছেন। বিষয়গুলি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন : পীরগঞ্জে দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা