ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করতে হবে: ড. কামাল হোসেন

জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন সংবিধান প্রণেতা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।সোমবার (৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।

ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সব সংবিধানিক সংস্কার করতে হবে। মৌলিক বিষয়ে হাত দেওয়া যাবে না। ব্যক্তির ইচ্ছায় নয়, জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক, মালিকদের দায়িত্ব অনেক। প্রত্যেক নাগরিককে প্রহরীর ভূমিকায় থাকতে হবে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, গত জুলাই-আগস্টে আমরা একটি মর্মান্তিক পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি। বিগত সরকারের আমলে দেশের মানুষের ওপর বৈষম্য-নির্যাতন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এ দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাদের ১৯৭১ সালের সাংবিধানিক অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

তিনি আরও বলেন, এ দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই আজকের প্রেক্ষাপটে আমাদের সংবিধানকে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ সংবিধান যাতে কোনোভাবে অত্যাচারের সুযোগ না দেয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধান সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।

কামাল হোসেন বলেন, জনগণ মনে করলে সংবিধান সংশোধনী আনা যেতে পারে। সংবিধানে ষোলোটি সংশোধনী হয়েছে। যখন দেখা গেছে সংবিধানে কোনো ঘাটতি তৈরি হয়েছে, মানুষের স্বার্থে কাজে লাগছে না, তখন সংবিধান বদলানো হয়েছে। তবে তা করতে হবে মানুষকে নিয়ে। কোনো ব্যক্তি এমনকি রাষ্ট্রপতিও কলমের খোঁচায় সংবিধান বদলাতে পারবেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মত গড়ে উঠলে সংবিধানে হাত দেওয়া যেতে পারে। যেন-তেনভাবে এটাতে হাত দেওয়া যাবে না। এমনকি সংসদও মৌলিক বিষয়ে হাত দিতে পারে না।

 

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুল শুনানি শুরু

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি ১৭ নভেম্বর

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পেল বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা

জামায়াতের নিবন্ধন, খারিজ আপিল পুনরুজ্জীবিত করলেন আপিল বিভাগ

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করতে হবে: ড. কামাল হোসেন

আপডেট সময় ১১:২৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন সংবিধান প্রণেতা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।সোমবার (৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।

ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সব সংবিধানিক সংস্কার করতে হবে। মৌলিক বিষয়ে হাত দেওয়া যাবে না। ব্যক্তির ইচ্ছায় নয়, জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক, মালিকদের দায়িত্ব অনেক। প্রত্যেক নাগরিককে প্রহরীর ভূমিকায় থাকতে হবে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, গত জুলাই-আগস্টে আমরা একটি মর্মান্তিক পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি। বিগত সরকারের আমলে দেশের মানুষের ওপর বৈষম্য-নির্যাতন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এ দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাদের ১৯৭১ সালের সাংবিধানিক অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

তিনি আরও বলেন, এ দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই আজকের প্রেক্ষাপটে আমাদের সংবিধানকে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ সংবিধান যাতে কোনোভাবে অত্যাচারের সুযোগ না দেয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধান সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।

কামাল হোসেন বলেন, জনগণ মনে করলে সংবিধান সংশোধনী আনা যেতে পারে। সংবিধানে ষোলোটি সংশোধনী হয়েছে। যখন দেখা গেছে সংবিধানে কোনো ঘাটতি তৈরি হয়েছে, মানুষের স্বার্থে কাজে লাগছে না, তখন সংবিধান বদলানো হয়েছে। তবে তা করতে হবে মানুষকে নিয়ে। কোনো ব্যক্তি এমনকি রাষ্ট্রপতিও কলমের খোঁচায় সংবিধান বদলাতে পারবেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মত গড়ে উঠলে সংবিধানে হাত দেওয়া যেতে পারে। যেন-তেনভাবে এটাতে হাত দেওয়া যাবে না। এমনকি সংসদও মৌলিক বিষয়ে হাত দিতে পারে না।

 

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুল শুনানি শুরু

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি ১৭ নভেম্বর

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পেল বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা

জামায়াতের নিবন্ধন, খারিজ আপিল পুনরুজ্জীবিত করলেন আপিল বিভাগ