এশিয়া একাদশ ও আফ্রিকান একাদশের মধ্যকার সাদা বলের সিরিজ- আফ্রো-এশিয়া কাপ। যেখানে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই দলে খেলে থাকেন। দুই পরাশক্তি ছাড়াও বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররাও আগের সিরিজগুলোতে খেলেছেন এশিয়া একাদশের হয়ে। অন্যদিকে আফ্রিকা একাদশে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ছাড়াও কেনিয়ার ক্রিকেটাররাও নিজেদের মহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
২০০৭ সালের পর দুই মহাদেশের ক্রিকেটারদের এ লড়াই আর দেখা যায়নি। সেবার আফ্রিকা একাদশকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছিল এশিয়া একাদশ। তার আগে ২০০৫ সালে বৃষ্টিতে এক ম্যাচ ভেসে যাওয়ার পর ১-১ সমতায় শেষ হয় সিরিজ। এরপর ২০০৯ সালে আরেকবার আয়োজনের কথা থাকলেও, গত দেড় যুগেও সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
তবে সম্প্রতি আফ্রো-এশিয়া কাপকে আবার ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে এসিএ। গত শনিবার (২ নভেম্বর) নিজেদের সাধারণ বার্ষিক সভায় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে আফ্রিকার ক্রিকেট সংস্থাটি। যেখানে সংস্থার পুনর্গঠন ছাড়াও মহাদেশে খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সে সভায় পুনরায় আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজনের বিষয়ে কথা হয়েছে বলে নিজেদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ক্রিকেট ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
এ বিষয়ে এসিএ’র অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান তাবেঙ্গা মুকুলানি বলেন, ‘ক্রিকেটের বাইরে আফ্রো-এশিয়া কাপ সংস্থার জন্য অত্যধিক প্রয়োজনীয় আর্থিক যোগানের ব্যবস্থা করে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এবং অবশ্যই আফ্রিকান বোর্ডগুলোর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আফ্রো-এশিয়া কাপের পুনর্জাগরণ চায়।’
দুই মহাদেশের মধ্যে সাদা বলের এ লড়াই ফের আয়োজন করা গেলে দুই চিরশত্রু দেশ ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফের একসঙ্গে খেলতে দেখা যাবে। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক বৈরিতা চলছে। ২০১২-১৩ মৌসুমের পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজও খেলে না দুদল। কেবল আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টেই দুদলকে মুখোমুখি হতে দেখা যায়। তবে আফ্রো-এশিয়া কাপ হলে সেখানে একই দলের হয়েই বিরাট-বাবরদের খেলতে দেখা যাবে।
সাকিবের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের দুর্ভাগা ক্রিকেটার নাসির,সাব্বির,ইমরুল,মিঠুন