ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতা হিসেবে আমি নিজেও চাপে আছি: খাদ্য উপদেষ্টা শিল্পপতি প্রেমিককে ৭ টুকরা করেন কথিত প্রেমিকা রুমা কটিয়াদীতে সেনাবাহিনীর হাতে মাদক সম্রাট আনুসহ আটক ৩ রাজনৈতিক বলয় থেকে কবে মুক্তি পাবে দুদক? মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত,কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ: হাইকোর্ট গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার পরিবারের পাশে তামিম ইকবাল হাজী সেলিম পুত্রের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ সংস্কারের গতির ওপর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নির্ভর করছে: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের চায়ের আমন্ত্রণে বিএনপি নেতারা প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা হলো না বাংলাদেশের

মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত,কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ: হাইকোর্ট

ঢাকা: কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানো (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর অধীন কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। রায়ের পর তিনি বলেন, আদালত বলেছেন- এ আইনের অধীন চুক্তিগুলো এখন সরকার পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবেন।

এর আগে আইনের ৬ (২) ও ৯ ধারা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক ও আইনজীবী তাইয়্যেবুল ইসলাম সৌরভ।

রিটের পর গত ২ সেপ্টেম্বর শাহদীন মালিক জানিয়েছেন, এটি কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত। সরকারের সব ক্রয় একটি প্রক্রিয়া তথা টেন্ডারের মধ্য দিয়ে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মন্ত্রী একক বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা তাকে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনো সভ্য রাষ্ট্রে মন্ত্রীর একক ক্ষমতা থাকতে পারে না। আর বলা হচ্ছে, এ আইনের অধীনে কর্ম নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আদালতের এখতিয়ার রদ করতে পারে এমন কোনো আইন হতে পারে না। এটা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত সপ্তাহের জন্য রুল দিয়েছেন।

রুলে আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এ রুলের ওপর গত ৭ নভেম্বর শুনানি শেষ হয়েছিল।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানো (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ‘আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ’ সংক্রান্ত ৯ ধারায় বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন কৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

৬ (২) ধারার বলা হয়েছে, উপধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যেকোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে ওই কাজের জন্য মনোনীত করে ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত,কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ: হাইকোর্ট

আপডেট সময় ০৩:২০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা: কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানো (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর অধীন কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। রায়ের পর তিনি বলেন, আদালত বলেছেন- এ আইনের অধীন চুক্তিগুলো এখন সরকার পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবেন।

এর আগে আইনের ৬ (২) ও ৯ ধারা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক ও আইনজীবী তাইয়্যেবুল ইসলাম সৌরভ।

রিটের পর গত ২ সেপ্টেম্বর শাহদীন মালিক জানিয়েছেন, এটি কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত। সরকারের সব ক্রয় একটি প্রক্রিয়া তথা টেন্ডারের মধ্য দিয়ে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মন্ত্রী একক বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা তাকে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনো সভ্য রাষ্ট্রে মন্ত্রীর একক ক্ষমতা থাকতে পারে না। আর বলা হচ্ছে, এ আইনের অধীনে কর্ম নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আদালতের এখতিয়ার রদ করতে পারে এমন কোনো আইন হতে পারে না। এটা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত সপ্তাহের জন্য রুল দিয়েছেন।

রুলে আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এ রুলের ওপর গত ৭ নভেম্বর শুনানি শেষ হয়েছিল।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানো (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ‘আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ’ সংক্রান্ত ৯ ধারায় বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন কৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

৬ (২) ধারার বলা হয়েছে, উপধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যেকোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে ওই কাজের জন্য মনোনীত করে ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।