টেকনাফ থানার হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তাউসিফুল করিম ও তার পিতাকে পূর্বশত্রুতার জেরে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের দাবি, কতিপয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী স্কুল ছাত্র তাউসিফুলকে অস্ত্র দিয়ে থানা পুলিশে ধরিয়ে দেয়।
সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্র তাউসিফুল করিম রাফিকে অস্ত্র মামলায় আটকের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) হ্নীলায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছে শিশু তাউসিফের ভুক্তভোগী পরিবার।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তাউসিফুল করিম রাফি’র পিতা রেজাউল করিম জানান, আমার শিশু ছেলে তাউসিফ (১৪) হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ২৮/১১/২০২৪ অনুষ্ঠিত পরিক্ষার্থী ছিল। গত ২৬/১১/২৪ ভোর ৪ ঘটিকায় জনৈক নুরুল আমিনের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর কালো রং এর বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের এসআই বদিউল আলম। অস্ত্র উদ্ধারের উক্ত ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৮০,তারিখ-২৬/১১/২৪। যার জিআর মামলা নং-৬৮৫/২০২৪।
রেজাউল করিম জানান, আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই আমি ও আমার স্কুল পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ নভেম্বর গভীর রাতে হ্নীলা দরগাহ পাড়া এলাকার জনৈক নুরুল আমিন এর বসতগৃহে তল্লাশি করে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে। পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করে পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রেজাউল করিম মেম্বারের বাড়িতে এসে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজায়। পরে পুর্বের উদ্ধার হওয়া অস্ত্র রেজাউলের স্কুল পড়ুয়া ছেলের মর্মে মামলা রেকর্ড করে। যা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে অস্ত্রটি কার? তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। একজন স্কুল ছাত্র ও তার পিতাকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।