ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিয়াজের বাড়িতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মোঃ রিয়াজের বাড়িতে গিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বরিশালের হিজলাতে BRWTP-1 প্রকল্পের আওতায় প্রক্রিয়াধীন হিজলা ল্যান্ডিং স্টেশন-লঞ্চঘাট নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শহীদ রিয়াজ এর গ্রামের বাড়িতে যান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

এ সময় নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রিয়াজের পরিবারের হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। উপদেষ্টা রিয়াজের কবর জিয়ারত করেন ও তাঁর আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

এর পূর্বে ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত জাতীয় বীর শহীদ রিয়াজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় একটি লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোষের চর লঞ্চ ঘাটে ওই পন্টুন উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক আরিফ উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, বরিশাল নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গির হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, শহীদ রিয়াজ বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে। তিনি বরিশাল মুলাদী ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে রিয়াজ অবস্থান করতেন সামনের সারিতে। গত ৪ আগস্ট ঢাকার জিগাতলা এলাকায় মিছিল করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সঙ্গে থাকা আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিয়াজের বাড়িতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০১:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মোঃ রিয়াজের বাড়িতে গিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বরিশালের হিজলাতে BRWTP-1 প্রকল্পের আওতায় প্রক্রিয়াধীন হিজলা ল্যান্ডিং স্টেশন-লঞ্চঘাট নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শহীদ রিয়াজ এর গ্রামের বাড়িতে যান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

এ সময় নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রিয়াজের পরিবারের হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। উপদেষ্টা রিয়াজের কবর জিয়ারত করেন ও তাঁর আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

এর পূর্বে ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত জাতীয় বীর শহীদ রিয়াজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় একটি লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোষের চর লঞ্চ ঘাটে ওই পন্টুন উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক আরিফ উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, বরিশাল নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গির হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, শহীদ রিয়াজ বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে। তিনি বরিশাল মুলাদী ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে রিয়াজ অবস্থান করতেন সামনের সারিতে। গত ৪ আগস্ট ঢাকার জিগাতলা এলাকায় মিছিল করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সঙ্গে থাকা আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।