ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিপিএল খেলতে এসে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের থানা থেকে পালানো ওসি শাহ আলম ‘সম্ভবত’ ভারত চলে গেছে: ডিএমপি কমিশনার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারি: আসিফ নজরুল পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেটেলারদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন ট্রাম্প সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্পে চলে একটি ট্রেন প্রয়োজনীয় সব আইন সংস্কার ছয় মাসের মধ্যে করা হবে: আইন উপদেষ্টা অতি বিপ্লবী হয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি কাম্য নয় : মির্জা ফখরুল ৫০ বছর পূর্তিতে চীনের কাছে বাংলাদেশের ২৪ প্রস্তাব ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিয়াজের বাড়িতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা উইন্ডিজে হেরে বিশ্বকাপের পথ কঠিন করে ফেললো টাইগ্রেসরা

থানা থেকে পালানো ওসি শাহ আলম ‘সম্ভবত’ ভারত চলে গেছে: ডিএমপি কমিশনার

কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করে আনার পর রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালানো সাবেক ওসি শাহ আলম এখনও ধরা পড়েনি। যদিও তাকে পুনরায় গ্রেফতারে সারাদেশে রেড এলার্ট জারি করেছিল পুলিশ। এবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানালেন, শাহ আলম সম্ভবত ভারত পালিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাবেক ওসিকে পুলিশ ছেড়ে দেয়নি। ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে যদি পুলিশ ছাড়বেই তবে কুষ্টিয়াতেই ছেড়ে দিতো। ঢাকায় আনার পর না। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, পালানো ওসিকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। সম্ভবত তিনি ইন্ডিয়া বা পাশের দেশে পালিয়ে গেছেন।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার এক মামলায় উত্তরা পূর্ব থানার ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। ওইদিন সকালেই পালান শাহ আলম।

অভিযোগ ওঠে, হত্যা মামলার আসামি শাহ আলমকে গ্রেফতার করে হাজতখানায় না রেখে ওসির কক্ষে রাখা হয়। পুলিশ সদস্যের অবহেলায় তিনি পালিয়ে যান। এরপর পলাতক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ কাজ শুরু করে। তবে এখনও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, তাকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। একটু সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। হাজতখানায় না ঢুকিয়ে একজন পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়। হাজতে থাকলে হয়তো পালাতে পারতো না। একজন সাব-ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সেখানে সে হয়তো কেয়ারলেস হয়েছিল, এর ফাঁকে ওই সাবেক ওসি পালিয়ে গেছে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

বিপিএল খেলতে এসে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

থানা থেকে পালানো ওসি শাহ আলম ‘সম্ভবত’ ভারত চলে গেছে: ডিএমপি কমিশনার

আপডেট সময় ০৫:৫০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করে আনার পর রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালানো সাবেক ওসি শাহ আলম এখনও ধরা পড়েনি। যদিও তাকে পুনরায় গ্রেফতারে সারাদেশে রেড এলার্ট জারি করেছিল পুলিশ। এবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানালেন, শাহ আলম সম্ভবত ভারত পালিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাবেক ওসিকে পুলিশ ছেড়ে দেয়নি। ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে যদি পুলিশ ছাড়বেই তবে কুষ্টিয়াতেই ছেড়ে দিতো। ঢাকায় আনার পর না। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, পালানো ওসিকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। সম্ভবত তিনি ইন্ডিয়া বা পাশের দেশে পালিয়ে গেছেন।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার এক মামলায় উত্তরা পূর্ব থানার ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। ওইদিন সকালেই পালান শাহ আলম।

অভিযোগ ওঠে, হত্যা মামলার আসামি শাহ আলমকে গ্রেফতার করে হাজতখানায় না রেখে ওসির কক্ষে রাখা হয়। পুলিশ সদস্যের অবহেলায় তিনি পালিয়ে যান। এরপর পলাতক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ কাজ শুরু করে। তবে এখনও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, তাকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। একটু সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। হাজতখানায় না ঢুকিয়ে একজন পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়। হাজতে থাকলে হয়তো পালাতে পারতো না। একজন সাব-ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সেখানে সে হয়তো কেয়ারলেস হয়েছিল, এর ফাঁকে ওই সাবেক ওসি পালিয়ে গেছে।