ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি চায় বাংলাদেশ বিয়ের প্রলোভনে যৌনসম্পর্ক বিষয়ক প্রচলিত আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিপিএম পদক পেলেন আন্দোলন দমনে কৌশল প্রয়োগকারী রিয়াদ শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ করে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি আজ থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুল্ক নীতিতে ট্রাম্পের অনড় অবস্থানের কারণে বিশ্ব শেয়ারবাজারে ধস আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস এবারের ঈদযাত্রা হয়েছে স্বস্তির ও নির্বিঘ্ন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শঙ্কা, সতর্কতা জারি ডিসির বাংলো থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১০০ বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার

স্ত্রীর পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় হবে কীভাবে?

নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী স্ত্রীর পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা স্বামীর ওপর ওয়াজিব নয়। স্ত্রী যদি সম্পদশালী হয়, তাহলে তার ফিতরা আদায় করা তার ওপর ওয়াজিব হবে। তবে স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামী যদি ফিতরা আদায় করে দেয়, তাহলে তা আদায় হয়ে যাবে। আদায় করার আগে স্ত্রীকে বলে নেওয়া ভালো, তবে অনুমতি না নিয়ে আদায় করলেও আদায় হয়ে যাবে।

বাবা-মা ও প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকেও ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। তারা নিজেরা নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাদের ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব হবে এবং তা আদায় করার দায়িত্বও তাদের।

রমজান ও ইদুল ফিতরের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হলো ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর। সম্পদশালী মুসলমানদের পাশাপাশি দরিদ্র মুসলামানরাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারে, সে জন্য আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা ফিতরা দেওয়া আবশ্যক করেছেন।

ইদুল ফিতরের দিন সকালে যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ, ব্যবসাপণ্য, বসবাস ও খোরাকির জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন জমি, বসবাসের অতিরিক্ত বাড়ি, অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র) মালিক থাকে, তার ওপর ওয়াজিব হয় তার নিজের পক্ষ থেকে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা।

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে সম্পদশালী হলে তার ফিতরা তার সম্পদ থেকে আদায় করাই নিয়ম। তবে বাবা চাইলে নিজের সম্পদ থেকেও তা আদায় করে দিতে পারেন।

এ বছর ফিতরা কত টাকা?
হাদিসে নবিজি (সা.) উন্নত মানের খেজুর, মধ্যম মানের খেজুর, কিসমিস, পনির ও গম -এই পাঁচটি খাদ্যদ্রব্যের যে কোনো একটির মাধ্যমে ফিতরা আদায় করার অনুমতি দিয়েছেন। এগুলোর মূল্য অনুযায়ী ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারিত হয়। এ বছর (রমজান ১৪৪৬ হিজরি মোতাবেক ২০২৫ খৃষ্টাব্দ) বাংলাদেশ সরকারের ফিতরা নির্ধারণ কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ফিতরার পরিমাণ জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আটোয়ারীতে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

স্ত্রীর পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় হবে কীভাবে?

আপডেট সময় ১২:০১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী স্ত্রীর পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা স্বামীর ওপর ওয়াজিব নয়। স্ত্রী যদি সম্পদশালী হয়, তাহলে তার ফিতরা আদায় করা তার ওপর ওয়াজিব হবে। তবে স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামী যদি ফিতরা আদায় করে দেয়, তাহলে তা আদায় হয়ে যাবে। আদায় করার আগে স্ত্রীকে বলে নেওয়া ভালো, তবে অনুমতি না নিয়ে আদায় করলেও আদায় হয়ে যাবে।

বাবা-মা ও প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকেও ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। তারা নিজেরা নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাদের ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব হবে এবং তা আদায় করার দায়িত্বও তাদের।

রমজান ও ইদুল ফিতরের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হলো ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর। সম্পদশালী মুসলমানদের পাশাপাশি দরিদ্র মুসলামানরাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারে, সে জন্য আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা ফিতরা দেওয়া আবশ্যক করেছেন।

ইদুল ফিতরের দিন সকালে যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ, ব্যবসাপণ্য, বসবাস ও খোরাকির জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন জমি, বসবাসের অতিরিক্ত বাড়ি, অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র) মালিক থাকে, তার ওপর ওয়াজিব হয় তার নিজের পক্ষ থেকে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা।

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে সম্পদশালী হলে তার ফিতরা তার সম্পদ থেকে আদায় করাই নিয়ম। তবে বাবা চাইলে নিজের সম্পদ থেকেও তা আদায় করে দিতে পারেন।

এ বছর ফিতরা কত টাকা?
হাদিসে নবিজি (সা.) উন্নত মানের খেজুর, মধ্যম মানের খেজুর, কিসমিস, পনির ও গম -এই পাঁচটি খাদ্যদ্রব্যের যে কোনো একটির মাধ্যমে ফিতরা আদায় করার অনুমতি দিয়েছেন। এগুলোর মূল্য অনুযায়ী ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারিত হয়। এ বছর (রমজান ১৪৪৬ হিজরি মোতাবেক ২০২৫ খৃষ্টাব্দ) বাংলাদেশ সরকারের ফিতরা নির্ধারণ কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ফিতরার পরিমাণ জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।