ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়াহুদীবাদ নিপাত যাক

গাজা আজ একটি মৃত্যু উপত্যকা। লক্ষ লক্ষ মানুষের বসতি আজ জনশুন্য বিরানভূমি। ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের সিরিজ বোমা হামলা আর স্থল অভিযানের নামে গনহত্যা,ছাড়িয়ে গেছে সর্বকালের বিভীষিকাময় বর্বরতাকে। মার্কিন প্রশাসন এবং পশ্চিমাদের তথাকথিত মানবতা আজ প্রশ্নবানে জর্জরিত।
এই গণহত্যার দায় যেমনটা এড়াতে পারেনা মোড়ল দেশগুলো, তেমনি এড়াতে পারেনা নিরবতার চাদরে আচ্ছন্ন বিলাসী আরবরা। পৃথিবীর তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সকল সামর্থ্য যেন মুষড়ে পড়েছে,দখলদার ইয়াহুদীবাদী ইসরায়েলের নিষ্ঠুরতার সামনে।
সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে মায়ের কোলে ভূমিষ্ট ছোট শিশুটিও আজ নিষ্পাপ রক্তে রঞ্জিত। বোমার আঘাতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন মানবদেহ উড়ছে আকাশে! গাঁজার ভূখন্ড আজ মাটি নয়, নারকীয় ধ্বংস লীলার নিদর্শন হয়ে কঠিন শিলার নীচে চাপা পড়েছে।
প্যালেষ্টাইনের বিরান ভূমি বাতাসে নয়, ভারী হয়ে আছে বারুদের গন্ধ আর জিবন-বিধ্বংসী বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাসের কুন্ডুলিতে।
তবু নিশ্চুপ নির্বিকার বিশ্ব। যেন কারো বলার কিছু নেই, এ বর্বরতা যেন স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে মুসলিম দেশগুলো।
তবে কী জাতিসংঘ নামক প্রতিষ্ঠানটিও একটি ক্লাবের নাম? যেখানে ঘটা করে বিশ্বনেতারা একত্রিত হয়ে কফি খায়; শুধু কী কফি আর মেয়াদোত্তীর্ণ গাঁজা খাওয়ার জন্যই এই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়েছিল?
ও আই সি, নামক প্রতিষ্ঠানটির কাজ কী? ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্র মিলে কিসের সংগঠন স্থাপন করেছিল? এই সংগঠনের উদ্দেশ্য আদর্শটাই বা কী?
কোথায় আজ বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা? কোথায় আন্তর্জাতিক আইন আদালত? এ সব প্রতিষ্ঠানগুলো কী শুধুই নিছক আনুষ্ঠানিকতার নীরব নিদর্শন! অথবা ডাল-তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দারের গালগল্পের আড্ডাখানা?
ইতিহাস বড়ই নির্মম! কাউকে ক্ষমা করেনা! এই পৃথিবীর মানুষকে এর জবাব দিতে হবে একদিন, কড়ায়-গন্ডায় হিসাব করে!!
“এই পৃথবী হবেনা ধ্বংস কভু/অত্যাচারীর নগ্ন বাহুবলে/হবে ধ্বংস যবে/ প্রতিবাদী না হবে নিপীড়িত সকলে”।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ইয়াহুদীবাদ নিপাত যাক

আপডেট সময় ১২:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
গাজা আজ একটি মৃত্যু উপত্যকা। লক্ষ লক্ষ মানুষের বসতি আজ জনশুন্য বিরানভূমি। ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের সিরিজ বোমা হামলা আর স্থল অভিযানের নামে গনহত্যা,ছাড়িয়ে গেছে সর্বকালের বিভীষিকাময় বর্বরতাকে। মার্কিন প্রশাসন এবং পশ্চিমাদের তথাকথিত মানবতা আজ প্রশ্নবানে জর্জরিত।
এই গণহত্যার দায় যেমনটা এড়াতে পারেনা মোড়ল দেশগুলো, তেমনি এড়াতে পারেনা নিরবতার চাদরে আচ্ছন্ন বিলাসী আরবরা। পৃথিবীর তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সকল সামর্থ্য যেন মুষড়ে পড়েছে,দখলদার ইয়াহুদীবাদী ইসরায়েলের নিষ্ঠুরতার সামনে।
সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে মায়ের কোলে ভূমিষ্ট ছোট শিশুটিও আজ নিষ্পাপ রক্তে রঞ্জিত। বোমার আঘাতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন মানবদেহ উড়ছে আকাশে! গাঁজার ভূখন্ড আজ মাটি নয়, নারকীয় ধ্বংস লীলার নিদর্শন হয়ে কঠিন শিলার নীচে চাপা পড়েছে।
প্যালেষ্টাইনের বিরান ভূমি বাতাসে নয়, ভারী হয়ে আছে বারুদের গন্ধ আর জিবন-বিধ্বংসী বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাসের কুন্ডুলিতে।
তবু নিশ্চুপ নির্বিকার বিশ্ব। যেন কারো বলার কিছু নেই, এ বর্বরতা যেন স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে মুসলিম দেশগুলো।
তবে কী জাতিসংঘ নামক প্রতিষ্ঠানটিও একটি ক্লাবের নাম? যেখানে ঘটা করে বিশ্বনেতারা একত্রিত হয়ে কফি খায়; শুধু কী কফি আর মেয়াদোত্তীর্ণ গাঁজা খাওয়ার জন্যই এই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়েছিল?
ও আই সি, নামক প্রতিষ্ঠানটির কাজ কী? ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্র মিলে কিসের সংগঠন স্থাপন করেছিল? এই সংগঠনের উদ্দেশ্য আদর্শটাই বা কী?
কোথায় আজ বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা? কোথায় আন্তর্জাতিক আইন আদালত? এ সব প্রতিষ্ঠানগুলো কী শুধুই নিছক আনুষ্ঠানিকতার নীরব নিদর্শন! অথবা ডাল-তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দারের গালগল্পের আড্ডাখানা?
ইতিহাস বড়ই নির্মম! কাউকে ক্ষমা করেনা! এই পৃথিবীর মানুষকে এর জবাব দিতে হবে একদিন, কড়ায়-গন্ডায় হিসাব করে!!
“এই পৃথবী হবেনা ধ্বংস কভু/অত্যাচারীর নগ্ন বাহুবলে/হবে ধ্বংস যবে/ প্রতিবাদী না হবে নিপীড়িত সকলে”।