ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট; থানায় তিন সাংবাদিকের এজাহার

ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় তিন সাংবাদিক পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার দায়ের করা সাংবাদিকরা হলেন, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, সহ সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ, সাহিত্য ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বাদল হোসেন।
পীরগঞ্জ থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পীরগঞ্জ উপজেলার পাটুয়াপাড়াস্থ গোগর পাটুয়াপাড়া হাফিজিয়া এতিমখানায় (নিবন্ধন নম্বর: ২৭৮/২০১১) দুর্নীতি ও অনিয়ম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মৃত এম এ গফফারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সোহেল রানা। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ফেসবুকে ‘পরশপাথর’ নামের একটি পেইজ থেকে “চাঁদাবাজ মুক্ত হোক পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব” লেখা সম্বলিত একটি ফেস্টুন পোস্ট করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে অবস্থানকালে সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা পোস্টটি দেখতে পান এবং সাথে সাথে প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যদেরও বিষয়টি অবহিত করেন।
পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা বলেন, ওই ফেসবুক পেইজে সোহেল রানার ব্যক্তিগত ছবি ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে পেইজটি সোহেল রানা পরিচালনা করছেন।
ঘটনার পরপরই পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই মানহানিকর পোস্টের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নসরতে খোদা রানা তাঁর এজাহারে উল্লেখ করেন, “সোহেল রানা এই পোস্টের মাধ্যমে পুরো পীরগঞ্জের সাংবাদিক সমাজের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন। এটি শুধু প্রেসক্লাব নয়, সাংবাদিকতার পেশাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা।”
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল বলেন, সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে। থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে রংপুর সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালেও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানায়, এজাহার পেয়েছি। বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এজাহার দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত সোহেল রানা ৫ মে ওই ফেসবুক পেইজ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও ৫ মে দুপুরে হোয়াটস অ্যাপে ফোন দিয়ে ওই পোষ্টের জন্য পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সহ পীরগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব এ অঞ্চলের সাংবাদিকদের অন্যতম পুরনো ও সুনামধন্য সংগঠন।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

বাংলাদেশ থেকে বৈধ ভাবে জনশক্তি নিবে ইতালি

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট; থানায় তিন সাংবাদিকের এজাহার

আপডেট সময় ০৬:১৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় তিন সাংবাদিক পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার দায়ের করা সাংবাদিকরা হলেন, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, সহ সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ, সাহিত্য ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বাদল হোসেন।
পীরগঞ্জ থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পীরগঞ্জ উপজেলার পাটুয়াপাড়াস্থ গোগর পাটুয়াপাড়া হাফিজিয়া এতিমখানায় (নিবন্ধন নম্বর: ২৭৮/২০১১) দুর্নীতি ও অনিয়ম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মৃত এম এ গফফারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সোহেল রানা। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ফেসবুকে ‘পরশপাথর’ নামের একটি পেইজ থেকে “চাঁদাবাজ মুক্ত হোক পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব” লেখা সম্বলিত একটি ফেস্টুন পোস্ট করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে অবস্থানকালে সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা পোস্টটি দেখতে পান এবং সাথে সাথে প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যদেরও বিষয়টি অবহিত করেন।
পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা বলেন, ওই ফেসবুক পেইজে সোহেল রানার ব্যক্তিগত ছবি ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে পেইজটি সোহেল রানা পরিচালনা করছেন।
ঘটনার পরপরই পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই মানহানিকর পোস্টের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নসরতে খোদা রানা তাঁর এজাহারে উল্লেখ করেন, “সোহেল রানা এই পোস্টের মাধ্যমে পুরো পীরগঞ্জের সাংবাদিক সমাজের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন। এটি শুধু প্রেসক্লাব নয়, সাংবাদিকতার পেশাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা।”
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল বলেন, সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে। থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে রংপুর সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালেও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানায়, এজাহার পেয়েছি। বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এজাহার দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত সোহেল রানা ৫ মে ওই ফেসবুক পেইজ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও ৫ মে দুপুরে হোয়াটস অ্যাপে ফোন দিয়ে ওই পোষ্টের জন্য পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সহ পীরগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব এ অঞ্চলের সাংবাদিকদের অন্যতম পুরনো ও সুনামধন্য সংগঠন।