নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত ৮ মে বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জেলা মতলব উত্তর উপজেলাস্থ নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডি গঠনকল্পে এলাকাবাসীকে নিয়ে কলেজের অফিস কক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। শেষ পর্যায়ে সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সভাপতি প্রার্থী মোট তিনজন মোঃ মিজানুর রহমান , মোঃ কবির হোসেন এবং মতিউর রহমান ঝন্টু।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবিধান অনুযায়ী ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচনের সুযোগ নেই। তাই প্রার্থীদের বেশিরভাগ যাকে সমর্থন করবে তিনিই প্রাইম লিস্টের ১নং সভাপতি মর্যাদায় থাকবেন। সেক্ষেত্রে মিজানুর রহমান অথবা কবির হোসেন এ দুজনের মধ্যে যে কোন একজনের নাম প্রাইম লিষ্টে এক নম্বরে থাকার কথা, যেহেতু তারা পরস্পরকে সমর্থন দিয়েছে।
কিন্তু মতিউর রহমান জন্টু যার নামে এলাকাবাসীর অনেক অভিযোগ, বিগত ২০১৮ সালের পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পাতানো নির্বাচনে একজন কারিগর গণদুশমন, খুনি হাসিনার দোসর, অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য সেনাবাহিনী থেকে চাকরিরচ্যুত, নিরীহ এলাকাবাসীর জায়গা জমির জবরদখলকারি, মাদক কারবারি, টাউট বাটপার, যুবসমাজকে ধ্বংসের হোতা সেই ঝন্টু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বিশেষ করে কিশোর গ্যাং ভাড়া করে গন্ডগোলের সৃষ্টি করে এক বিশৃংখল পরিবেশের জন্ম দেয় এবং জোরপূর্বক তার নাম এক নম্বরে দেয়ার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদান করে । সন্ত্রাসী কায়দায় পেশী শক্তি প্রদর্শনপূর্বক সে সভাপতির পথ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। অন্য সভাপতিদ্বয় এতে হতভম্ব হয়ে পরে এবং সভা থেকে বের হয়ে যায।
সচেতন মহলের মতে, শিক্ষাঙ্গনের মত একটা পবিত্র অঙ্গনে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড কিছুতেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তা ভবিষ্যতে এ সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এলাকাবাসীর সাফ কথা মিজানুর রহমান যোগ্য প্রার্থী তাকেই আমরা সভাপতি পদে দেখতে চাই।