রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতির মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি জানান, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা আয়োজন করতে প্রস্তুত তুরস্ক। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে টেলিফোনে এ প্রস্তাব দেন তিনি। খবর বিবিসির।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইস্তাম্বুলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্মতি দেওয়ার পরই এ উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত বলে জানালেন এরদোয়ান।
এর আগেও তুরস্ক ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করেছে। ২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদদাতা টম বেটম্যান তুরস্কের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘এই বৈঠকগুলো তুরস্কের ভূমিকার ওপর আরও বেশি আলোকপাত করে।’
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেন আশা করে, রাশিয়া আগামীকাল সোমবার (১২ মে) থেকে একটি পূর্ণ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে এবং ইউক্রেনও বৈঠকের জন্য প্রস্তুত।’
এর আগে, স্থানীয় সময় শনিবার (১০ মে) রাতে ক্রেমলিন থেকে একটি টেলিভিশন ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘আমরা এমন একটি আলোচনা চাই, যা প্রকৃত সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবে এবং দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল শান্তির পথ উন্মুক্ত করবে।’
পুতিন কিয়েভকে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই ইস্তাম্বুলে আলোচনার জন্য আহ্বান জানান। তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেননি।
শনিবার কিয়েভ সফরকালে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে একমত হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী সোমবার (১২ মে) থেকে ইউক্রেনে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তারা।