ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার (১৬ জুন) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনা নাকচ না করে বরং বলেছেন, এটি ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের ইতি টানতে পারে। নেতানিয়াহু বলেন, “এটি সংঘাতকে বাড়াবে না, বরং শেষ করবে।” খবর টাইমস অব ইসরায়েল।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, “গত অর্ধ শতাব্দী ধরে ইরানের এই শাসন ব্যবস্থা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আজ তেল আবিব, কাল নিউইয়র্ক—আমেরিকানদের এটি বুঝতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু নিজেদের নয়, আপনাদের শত্রুর বিরুদ্ধেও লড়ছি।”
একইদিনে এক প্রেস কনফারেন্সে নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েল ইতোমধ্যে ইরানের নাতানজ পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রসহ একাধিক পরমাণু স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, “আমরা তাদের ১০ জন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছি, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের কারখানাগুলো ধ্বংস করেছি।”
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলেছে এবং পশ্চিম ইরানে “বিমান চলাচলের পথ খুলে দিয়েছে।”
নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের অভিযানের তিনটি প্রধান লক্ষ্য—
১. ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা।
২. ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ক্ষমতা শেষ করা।
৩. সন্ত্রাসের অক্ষ গুঁড়িয়ে দেওয়া।”
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “ইরান সরকার আমাদের ভয় পায়, কিন্তু তারা যাদের সবচেয়ে বেশি ভয় পায় তা হলো তাদের জনগণ। তারা জানে, ইসরায়েল টিকে থাকবে, তাদের ‘গল্প’ শেষ হয়ে যাবে।”
রোববার গুজব ছড়ায় যে ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার একটি সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন। যদিও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা একে “ভুয়া সংবাদ” হিসেবে নাকচ করেছেন।
নেতানিয়াহু বলেন, তিনি প্রতিদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ওপর আস্থা রাখছেন। তিনি বলেন, “আমরা যা করছি, তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিত। আমরা জানি ট্রাম্প চান না ইরান পারমাণবিক শক্তি অর্জন করুক।”
নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রভাব হামাস ও গাজার সংঘাতেও পড়বে। তিনি বলেন, “যদি ইরান বা তাদের হুমকি পতিত হয়, তাহলে এর প্রভাব আমাদের প্রতিবেশী ‘প্রক্সি’দের ওপরও পড়বে।”
ইরানের হামলায় বিধ্বস্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার, নিহত ৩