ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিবন্ধনের জন্য ইসিতে এনসিপির আবেদন, প্রতীক চায় শাপলা

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আবেদনে দলীয় প্রতীক হিসেবে চাওয়া হয়েছে জাতীয় ফুল শাপলা।

আজ রোববার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জমা দেওয়ার পর এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরপিওর অধীনে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করে আমরা নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছি। তারা আবেদন গ্রহণ করেছে।’

দলের মুখ্য সংগঠক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, তারা দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়ে আবেদন করেছেন। বিকল্প প্রতীক হিসেবে ‘কলম’ ও ‘মোবাইলফোন’ চাওয়া হয়েছে।

এনসিপির তথ্য অনুযায়ী, দলটি এখন পর্যন্ত ১৩০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রায় ৩০টি জেলা কমিটি গঠন করেছে।

সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা আরপিও অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দল নিবন্ধনের শর্তসমূহ পূরণ করে আবেদন দাখিল করেছি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আমাদের আবেদন রিসিভ করেছেন। তারা রিসিভ কপি দিয়েছেন।’

আখতার হোসেন বলেন, ‘একটি দল নিবন্ধনের জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে, সেই শর্তগুলো পূরণ করে আমাদের মূল আবেদনের সঙ্গে যে সংযুক্তিগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আমাদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পথে আছেন। তারা আসছেন আমরা সেই অন্যান্য যে ডকুমেন্টসগুলো আছে সম্পূর্ণ ডকুমেন্টসগুলো আমরা এখানে সাবমিট করব।’

আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা শুধু একটা জিনিস আপনাদেরকে জানাতে চাই, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি জনগণের দল হিসেবে জনগণের পক্ষের শক্তি হিসেবে অভ্যুত্থানকে ধারণ করে বাংলাদেশে যে নতুন রাজনীতি চর্চা করতে চেয়েছে, সেই রাজনীতির ডাকে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মানুষের এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাদের সবার সদস্য ফর্মগুলো, আমাদের কমিটিগুলোর সম্পূর্ণ ডকুমেন্টস আমরা আজকে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করছি। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের যে আবেদন দাখিল করেছে, সেখানে আমরা তিনটি প্রতীক উল্লেখ করেছি। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা হলো দলের প্রতীক হিসেবে নির্বাচন কমিশন আমাদের শাপলা বরাদ্দ প্রদান করবে। প্রতীক হিসেবে আমরা শাপলা চেয়েছি। আমরা আশা করব, কমিশন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে দলের প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ প্রদান করবেন।’

সে সময় মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ‘আজকে আমাদের একটি গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের দিন। আপনারা জানেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। আমাদের সামনে একটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল, ব্যালট রেভুলেশনের। আমরা এই প্রস্তুতির জন্য আজকে দেশবাসীর সামনে দেখাচ্ছি, নির্বাচনের যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাতে আমরা দরখাস্ত করেছি। পার্লামেন্ট এখন খালি রয়েছে। এই পার্লামেন্টে আগামীতে সংস্কার বা ঐক্যমত কমিশনের ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসন এনসিপির ঘরে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। এইবারই এনসিপি পার্লামেন্টে জাতীয় সরকার গঠন করবে, যার মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের সংস্কার গণপরিষদের যেসব কার্যাবলি রয়েছে, সেসব কার্যাবলি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ব্যালট ট্রেলেশনের মাধ্যমে হবে, ইনশাল্লাহ। আমরা স্বল্প সময়ে দল গঠন করতে পেরেছি এবং সারা বাংলাদেশে কথা বলেছি। দেশবাসীকে জানাতে চাচ্ছি, অনেক জায়গায় আমরা অফিস নিতে গিয়েছি, সেখানে আমাদের অফিস নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় আমরা কমিটি গঠন করতে গিয়েছি, সেখানে ছলচাতুরির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দল তাদের দলীয় এজেন্ট বিভিন্নভাবে আমাদের ঢুকিয়ে তারপরে তাদের আবার এই পদত্যাগ করিয়েছে। এই হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার। আমরা সব প্রতিকূলতা সকল চ্যালেঞ্জকে মানিয়ে আজকে আপনাদের সামনে এখানে উপনীত হয়েছি। যেভাবে পাঁচ তারিখে গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষের জয় হয়েছিল। আগামীর পার্লামেন্ট ভোট ব্যাংকে এনসিপির শাপলা প্রতীকে পুরো বাংলাদেশের মানুষ জয়জয়কার করে দেবে। এনসিপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে।’

নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘শাপলার পর দ্বিতীয় প্রতীক হিসেবে আমরা রেখেছি কলম। তৃতীয় প্রতীক হিসেবে রেখেছি মোবাইল। তবে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এবং দেশবাসীর কাছে আবেদন রাখব, আমাদের যাতে শাপলায় মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং শাপলা মার্কার মাধ্যমে জনগণের তাদের সরকার গঠন করে। ইনশআল্লাহ, আমরা সরকার গঠন করেই বাংলাদেশে যে জরাজীর্ণ ফ্যাসিবাদী যে বন্দোবস্ত রয়েছে, এটাকে বিলোপ করে নতুন একটি সেটেলমেন্টের মধ্যে শক্তিশালী একটি বাংলাদেশ গঠন করব।’

এনসিসি গঠনের বিরোধীরা ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থাকতে চান : নাহিদ

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

নিবন্ধনের জন্য ইসিতে এনসিপির আবেদন, প্রতীক চায় শাপলা

আপডেট সময় ০৬:৪৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আবেদনে দলীয় প্রতীক হিসেবে চাওয়া হয়েছে জাতীয় ফুল শাপলা।

আজ রোববার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জমা দেওয়ার পর এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরপিওর অধীনে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করে আমরা নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছি। তারা আবেদন গ্রহণ করেছে।’

দলের মুখ্য সংগঠক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, তারা দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়ে আবেদন করেছেন। বিকল্প প্রতীক হিসেবে ‘কলম’ ও ‘মোবাইলফোন’ চাওয়া হয়েছে।

এনসিপির তথ্য অনুযায়ী, দলটি এখন পর্যন্ত ১৩০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রায় ৩০টি জেলা কমিটি গঠন করেছে।

সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা আরপিও অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দল নিবন্ধনের শর্তসমূহ পূরণ করে আবেদন দাখিল করেছি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আমাদের আবেদন রিসিভ করেছেন। তারা রিসিভ কপি দিয়েছেন।’

আখতার হোসেন বলেন, ‘একটি দল নিবন্ধনের জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে, সেই শর্তগুলো পূরণ করে আমাদের মূল আবেদনের সঙ্গে যে সংযুক্তিগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আমাদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পথে আছেন। তারা আসছেন আমরা সেই অন্যান্য যে ডকুমেন্টসগুলো আছে সম্পূর্ণ ডকুমেন্টসগুলো আমরা এখানে সাবমিট করব।’

আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা শুধু একটা জিনিস আপনাদেরকে জানাতে চাই, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি জনগণের দল হিসেবে জনগণের পক্ষের শক্তি হিসেবে অভ্যুত্থানকে ধারণ করে বাংলাদেশে যে নতুন রাজনীতি চর্চা করতে চেয়েছে, সেই রাজনীতির ডাকে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মানুষের এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাদের সবার সদস্য ফর্মগুলো, আমাদের কমিটিগুলোর সম্পূর্ণ ডকুমেন্টস আমরা আজকে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করছি। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের যে আবেদন দাখিল করেছে, সেখানে আমরা তিনটি প্রতীক উল্লেখ করেছি। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা হলো দলের প্রতীক হিসেবে নির্বাচন কমিশন আমাদের শাপলা বরাদ্দ প্রদান করবে। প্রতীক হিসেবে আমরা শাপলা চেয়েছি। আমরা আশা করব, কমিশন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে দলের প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ প্রদান করবেন।’

সে সময় মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ‘আজকে আমাদের একটি গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের দিন। আপনারা জানেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। আমাদের সামনে একটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল, ব্যালট রেভুলেশনের। আমরা এই প্রস্তুতির জন্য আজকে দেশবাসীর সামনে দেখাচ্ছি, নির্বাচনের যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাতে আমরা দরখাস্ত করেছি। পার্লামেন্ট এখন খালি রয়েছে। এই পার্লামেন্টে আগামীতে সংস্কার বা ঐক্যমত কমিশনের ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসন এনসিপির ঘরে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। এইবারই এনসিপি পার্লামেন্টে জাতীয় সরকার গঠন করবে, যার মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের সংস্কার গণপরিষদের যেসব কার্যাবলি রয়েছে, সেসব কার্যাবলি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ব্যালট ট্রেলেশনের মাধ্যমে হবে, ইনশাল্লাহ। আমরা স্বল্প সময়ে দল গঠন করতে পেরেছি এবং সারা বাংলাদেশে কথা বলেছি। দেশবাসীকে জানাতে চাচ্ছি, অনেক জায়গায় আমরা অফিস নিতে গিয়েছি, সেখানে আমাদের অফিস নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় আমরা কমিটি গঠন করতে গিয়েছি, সেখানে ছলচাতুরির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দল তাদের দলীয় এজেন্ট বিভিন্নভাবে আমাদের ঢুকিয়ে তারপরে তাদের আবার এই পদত্যাগ করিয়েছে। এই হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার। আমরা সব প্রতিকূলতা সকল চ্যালেঞ্জকে মানিয়ে আজকে আপনাদের সামনে এখানে উপনীত হয়েছি। যেভাবে পাঁচ তারিখে গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষের জয় হয়েছিল। আগামীর পার্লামেন্ট ভোট ব্যাংকে এনসিপির শাপলা প্রতীকে পুরো বাংলাদেশের মানুষ জয়জয়কার করে দেবে। এনসিপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে।’

নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘শাপলার পর দ্বিতীয় প্রতীক হিসেবে আমরা রেখেছি কলম। তৃতীয় প্রতীক হিসেবে রেখেছি মোবাইল। তবে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এবং দেশবাসীর কাছে আবেদন রাখব, আমাদের যাতে শাপলায় মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং শাপলা মার্কার মাধ্যমে জনগণের তাদের সরকার গঠন করে। ইনশআল্লাহ, আমরা সরকার গঠন করেই বাংলাদেশে যে জরাজীর্ণ ফ্যাসিবাদী যে বন্দোবস্ত রয়েছে, এটাকে বিলোপ করে নতুন একটি সেটেলমেন্টের মধ্যে শক্তিশালী একটি বাংলাদেশ গঠন করব।’

এনসিসি গঠনের বিরোধীরা ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থাকতে চান : নাহিদ