ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

নেপালে ব্যাপক প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে মন্ত্রীসভার মুখপাত্র এবং যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছি। এখন এগুলো সচল রয়েছে।” খবর আল জাজিরার।

গত সপ্তাহে ভুয়া তথ্য, প্রতারণা ও ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধের অজুহাতে সরকার ২৬টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে ছিল হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও ইউটিউব।

তবে এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে “জেন জি” আন্দোলন নামে পরিচিত প্রতিবাদ শুরু হয়। রাজধানী কাঠমান্ডু ও বিভিন্ন বড় শহরে হাজারো তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থী নেমে আসে রাস্তায়।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, পানির ফোয়ারা ও লাঠিচার্জ করে। এতে শুধু কাঠমান্ডুতেই ১৭ জন এবং পূর্বাঞ্চলীয় ইটাহারিতে আরও ২ জন নিহত হয়।

নেপাল জুড়ে অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও আছেন।

এদিকে, জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, “নেপালে প্রতিবাদকারীদের হত্যার ঘটনায় আমরা হতবাক। নিরাপত্তা বাহিনীর অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।”

অপরদিকে, সরকার জানিয়েছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

নেপালে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি, নিহত ১৬

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অবশেষে নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

আপডেট সময় ১০:৩৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালে ব্যাপক প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে মন্ত্রীসভার মুখপাত্র এবং যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছি। এখন এগুলো সচল রয়েছে।” খবর আল জাজিরার।

গত সপ্তাহে ভুয়া তথ্য, প্রতারণা ও ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধের অজুহাতে সরকার ২৬টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে ছিল হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও ইউটিউব।

তবে এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে “জেন জি” আন্দোলন নামে পরিচিত প্রতিবাদ শুরু হয়। রাজধানী কাঠমান্ডু ও বিভিন্ন বড় শহরে হাজারো তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থী নেমে আসে রাস্তায়।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, পানির ফোয়ারা ও লাঠিচার্জ করে। এতে শুধু কাঠমান্ডুতেই ১৭ জন এবং পূর্বাঞ্চলীয় ইটাহারিতে আরও ২ জন নিহত হয়।

নেপাল জুড়ে অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও আছেন।

এদিকে, জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, “নেপালে প্রতিবাদকারীদের হত্যার ঘটনায় আমরা হতবাক। নিরাপত্তা বাহিনীর অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।”

অপরদিকে, সরকার জানিয়েছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

নেপালে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি, নিহত ১৬