ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন আর নেই

বাংলাদেশের ‘লালন সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন (৭০) আর নেই। আজ শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

বাংলার আঞ্চলিক সুর ও লালনের গানকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন ফরিদা পারভীন। ভক্ত-শ্রোতাদের কাছে তিনি ছিলেন শুধু শিল্পী নন, ছিলেন লালনচর্চার অন্যতম প্রধান মুখ। তার কণ্ঠে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘আমি কোথায় পাবো তারে’, ‘তুমি জানো না রে প্রাণহীন দেহে’, ‘নিন্দা আর করিস না বকুল ফুল’—এসব গান হয়ে উঠেছিল কালজয়ী।

১৯৫৪ সালে নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। শৈশবেই সংগীত শিক্ষার হাতেখড়ি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সংগীতচর্চায় যুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুল সঙ্গীতের মাধ্যমে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে লালনের গান দিয়েই তিনি সবার হৃদয়ে জায়গা করে নেন।

কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা। তিনি রেখে গেছেন অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।

 

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন আর নেই

আপডেট সময় ১১:৩৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের ‘লালন সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন (৭০) আর নেই। আজ শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

বাংলার আঞ্চলিক সুর ও লালনের গানকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন ফরিদা পারভীন। ভক্ত-শ্রোতাদের কাছে তিনি ছিলেন শুধু শিল্পী নন, ছিলেন লালনচর্চার অন্যতম প্রধান মুখ। তার কণ্ঠে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘আমি কোথায় পাবো তারে’, ‘তুমি জানো না রে প্রাণহীন দেহে’, ‘নিন্দা আর করিস না বকুল ফুল’—এসব গান হয়ে উঠেছিল কালজয়ী।

১৯৫৪ সালে নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। শৈশবেই সংগীত শিক্ষার হাতেখড়ি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সংগীতচর্চায় যুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুল সঙ্গীতের মাধ্যমে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে লালনের গান দিয়েই তিনি সবার হৃদয়ে জায়গা করে নেন।

কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা। তিনি রেখে গেছেন অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।