লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে পাড়ি দিতে হতো ১৫৯ রান। গায়ানার প্রভিডেন্সের স্পিন ট্র্যাকে যা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। তাছাড়া স্পিনে আফগানরা কতটা প্রসিদ্ধ সেটা সবার জানা! রশিদ খানদের এই স্পিনের ফাঁদেই মুখ থুবড়ে পড়ল নিউজিল্যান্ড। রান তাড়া তো দূরে, যেতে পারল না ধারে কাছেও। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের কাছে লজ্জার হারে ডুবেছে কেইন উইলিয়ামসনের দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ শনিবার নিউজিল্যান্ডকে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় আফগানিস্তান। যেটা কিউইদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় হার।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫৯ রানের সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে কিউইরা গুঁটিয়ে যায় মাত্র ৭৫ রানে। বিশ্বকাপে মঞ্চে এটা নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বনিন্ম স্কোর।
শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথম আফগানদের কাছে হারল নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে কিউইদের বিশ্বকাপ যাত্রাও খেল বিশাল ধাক্কা। অন্য দিকে টানা দুই জয়ের ছন্দে রীতিমতো উড়ছেন রশিদ-নবিরা।
আফগানিস্তানের হয়ে আজ ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই আফগানিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। ২২ রান আসে ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া বল হাতে দলটির হয়ে সমান চারটি উইকেট নেন ফারুকি ও রশিদ খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৯/৬ (গুরবাজ ৮০, ইব্রাহিম ৪৪, ওমারজাই ২২, নাবি ০, রাশিদ ৬, জানাত ১*, গুলবাদিন ০, নাজিবউল্লাহ ১*; বোল্ট ৪-০-২২-২, হেনরি ৪-০-৩৭-২, স্যান্টনার ৪-০-২৪-০, ব্রেসওয়েল ৩-০-২৭-০, ফার্গুসন ৪-০-২৮-১, মিচেল ১-০-১৬-০)।
নিউজিল্যান্ড: ১৫.২ ওভারে ৭৫ (অ্যালেন ০, কনওয়ে ৮, উইলিয়ামসন ৯, মিচেল ৫, ফিলিপস ১৮, চ্যাপম্যান ৪, ব্রেসওয়েল ০, স্যান্টনার ৪, হেনরি ১২, ফার্গুসন ২, বোল্ট ৩*; ফারুকি ৩.২-০-১৭-৪, নাবি ৪-০-১৬-২, নাভিন ৩-০-১০-০, রাশিদ ৪-০-১৭-৪, নুর ১-০-১০-০)।
ফল: আফগানিস্তান ৮৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ