ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং শাহবাগ ও আশপাশের এলাকা অচল হয়ে পড়ে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিটি হল থেকে আলাদা ব্যানারে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হলপাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি হয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এসে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘২০১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাকসহ’ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

গতকাল বুধবারও আন্দোলনকারীরা ঢাকার শাহবাগ মোড় প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।

দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো। পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।

আরো পড়ুন : ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রত্যয়

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ

আপডেট সময় ০৪:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং শাহবাগ ও আশপাশের এলাকা অচল হয়ে পড়ে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিটি হল থেকে আলাদা ব্যানারে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হলপাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি হয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এসে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘২০১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাকসহ’ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

গতকাল বুধবারও আন্দোলনকারীরা ঢাকার শাহবাগ মোড় প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।

দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো। পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।

আরো পড়ুন : ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রত্যয়