ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

মৃত মইনুল হোসেনকে আটক করতে বাসায় পুলিশ

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে তার বারিধারার বাসায় গিয়েছিল পুলিশ। গত সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে একটি মামলার ওয়ারেন্টের কাগজ নিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বারিধারার ২২ দূতাবাস রোডে প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বাসায় যান।

এ সময় বাসায় পরিবারের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে থাকা কর্মীদের কাছে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের অবস্থান জানতে চান। তারা পুলিশকে জানায়, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন। তখন পুলিশ ডেথ সার্টিফিকেট দেখতে চান। এটি দেখানোর পর তারা চলে যান।

মইনুল হোসেনের ছেলে জাভেদ হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারসহ তারা বিদেশে আছেন। সোমবার তার বাবার বিরুদ্ধে জারি হওয়া একটি ওয়ারেন্ট নিয়ে পুলিশ বাসায় গিয়েছিল। আমার বাবা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন, এ তথ্য জানানোর পর পুলিশ ডেথ সার্টিফিকেট দেখাতে বলে। বাসার কর্মীরা ডেথ সার্টিফিকেট দেখানোর পরে তারা চলে যায়।

তবে কোন থানার পুলিশ বাড়িতে গিয়েছিল তা বাসার কর্মীরা জানাতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাতে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা যান। ১৯৬৯ সালে বাবা মানিক মিয়ার মৃত্যুর পর দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন।

মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য মনোনীত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালের প্রচলন করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশের সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ এর সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। সেসময় হাইকোর্ট একটি মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ‘রং হেডেড’ বলে ঘোষণা করে। এ মামলার শুনানিকালে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ‘দ্য নিউ নেশন’ ইংরেজি পত্রিকার প্রকাশকও ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

আরো পড়ুন : আবারো তিন দিনের রিমান্ডে পার্থ

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মৃত মইনুল হোসেনকে আটক করতে বাসায় পুলিশ

আপডেট সময় ০৬:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে তার বারিধারার বাসায় গিয়েছিল পুলিশ। গত সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে একটি মামলার ওয়ারেন্টের কাগজ নিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বারিধারার ২২ দূতাবাস রোডে প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বাসায় যান।

এ সময় বাসায় পরিবারের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে থাকা কর্মীদের কাছে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের অবস্থান জানতে চান। তারা পুলিশকে জানায়, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন। তখন পুলিশ ডেথ সার্টিফিকেট দেখতে চান। এটি দেখানোর পর তারা চলে যান।

মইনুল হোসেনের ছেলে জাভেদ হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারসহ তারা বিদেশে আছেন। সোমবার তার বাবার বিরুদ্ধে জারি হওয়া একটি ওয়ারেন্ট নিয়ে পুলিশ বাসায় গিয়েছিল। আমার বাবা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন, এ তথ্য জানানোর পর পুলিশ ডেথ সার্টিফিকেট দেখাতে বলে। বাসার কর্মীরা ডেথ সার্টিফিকেট দেখানোর পরে তারা চলে যায়।

তবে কোন থানার পুলিশ বাড়িতে গিয়েছিল তা বাসার কর্মীরা জানাতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাতে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা যান। ১৯৬৯ সালে বাবা মানিক মিয়ার মৃত্যুর পর দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন।

মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য মনোনীত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালের প্রচলন করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশের সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ এর সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। সেসময় হাইকোর্ট একটি মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ‘রং হেডেড’ বলে ঘোষণা করে। এ মামলার শুনানিকালে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ‘দ্য নিউ নেশন’ ইংরেজি পত্রিকার প্রকাশকও ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

আরো পড়ুন : আবারো তিন দিনের রিমান্ডে পার্থ