মোঃ হামিদুর রহমান লিমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভীতি কাটছে মানুষের। আবার সেবার দ্বার খুলে গেছে। কোতয়ালী সদর থানায় নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছে জনগণ। আজ রবিবার রংপুর কোতয়ালী সদর থানায় গিয়ে দেখা গেছে সেবাপ্রার্থীদের ভীড়। খুলে দেয়া হয়েছে প্রধান দরজা। কোতয়ালী থানার ওসি বজলুর রশিদ পাগলাপীর বন্দরে ছাত্রদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ দেখে খুশি। পাশাপাশি ছাত্র জনতাও পুলিশ দেখে খুশি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সারা দেশে থানাগুলো আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। লুট হয়ে যায় অস্ত্র-গুলি। এরপর থেকেই আতঙ্কে পুলিশ সদস্যরা থানায় আসতে সাহস পাচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতে স্থাপনা পাহারা দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এর ব্যতিক্রম ছিল কোতয়ালী সদর থানা। প্রধান গেট বন্ধ থাকলেও সেবার কাজ চলছিল ঠিক ঠিক। স্থানীয় ছাত্র জনতাই পাহারা দিয়েছে থানাটি।
এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, কেউ যেন কোনো প্রকারের উসকানি দিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করতে না পারে সে জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এখন প্রধান কাজ। কোতয়ালী সদর থানার কোন কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। মানুষের মধ্যে একটি ভীতি কাজ করছিল। এখন সেই ভীতি কেটে গেছে। পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে।
কোতয়ালী থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, জনগণের জন্য আমার থানার দরজা সংকটকালিন সময়েও বন্ধ হয়নি। আমরা জনগণের সেবার জন্য প্রস্তুত। স্থানীয় জনসাধারণের জীবন, সম্পদ, স্থাপনা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়সহ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নিয়মিত তদারকি করছি।