ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

রাবিতে ছিনতাইকারী আটক

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালানোর সময় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বলে মতিহার থানার ওসি শেখ মো. মোবরক পারভেজ জানান।
ভুক্তভোগী ওই পরীক্ষার্থীর নাম পূর্ণীমা অধিকারী। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
ওসি বলেন, পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা ২২ বছরের অনিক রাজশাহী নগরীর তালাইমারী এলাকার সুমনের ছেলে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তার সঙ্গে রবীন নামের আরেকজন ছিনতাইকারী ছিলেন বলেও অনিক স্বীকার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করি, একটা মেয়ে শেখ রাসেল মাঠে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করছে এবং একজন লোকের পেছনে দৌড়াচ্ছে।
“তখন আমি ও আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষার্থী মিলে ওই ছিনতাইকরীর পিছু নিয়ে তাকে আটক করি। তাকে ধরার পর বুঝতে পারি, তারা দুজন ছিলো। কিন্তু আরেকজনকে আমরা ধরতে পারিনি। এ সময় সেখানে উপস্থিত অনেকে তাকে মারধরও করে।”
“ওই ছিনতাইকারী একটি গাড়ির নিচে ফোনটি ফেলে রেখেছিল। পরে সেখান থেকে আমরা ফোনটি সংগ্রহ করে ওই শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেই। পরে বিষয়টি আমরা পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাকে জানাই। এরপর ওই ছিনতাইকারীকে পুলিশে দেই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই ছিনতাইকারীকে প্রশাসন সরাসরি পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।”

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রাবিতে ছিনতাইকারী আটক

আপডেট সময় ০৫:৫৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালানোর সময় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বলে মতিহার থানার ওসি শেখ মো. মোবরক পারভেজ জানান।
ভুক্তভোগী ওই পরীক্ষার্থীর নাম পূর্ণীমা অধিকারী। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
ওসি বলেন, পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা ২২ বছরের অনিক রাজশাহী নগরীর তালাইমারী এলাকার সুমনের ছেলে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তার সঙ্গে রবীন নামের আরেকজন ছিনতাইকারী ছিলেন বলেও অনিক স্বীকার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করি, একটা মেয়ে শেখ রাসেল মাঠে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করছে এবং একজন লোকের পেছনে দৌড়াচ্ছে।
“তখন আমি ও আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষার্থী মিলে ওই ছিনতাইকরীর পিছু নিয়ে তাকে আটক করি। তাকে ধরার পর বুঝতে পারি, তারা দুজন ছিলো। কিন্তু আরেকজনকে আমরা ধরতে পারিনি। এ সময় সেখানে উপস্থিত অনেকে তাকে মারধরও করে।”
“ওই ছিনতাইকারী একটি গাড়ির নিচে ফোনটি ফেলে রেখেছিল। পরে সেখান থেকে আমরা ফোনটি সংগ্রহ করে ওই শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেই। পরে বিষয়টি আমরা পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাকে জানাই। এরপর ওই ছিনতাইকারীকে পুলিশে দেই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই ছিনতাইকারীকে প্রশাসন সরাসরি পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।”