ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
স্থবির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষাক্রম শুরু হবে কবে? ইসরায়েল রেড লাইন অতিক্রম করেছে : হিজবুল্লাহ প্রধান অর্থনৈতিক সংস্কারে সাহায্য করতে প্রস্তুুত বিশ্বব্যাংক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন : আইন উপদেষ্টা সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান

এইচএসসি পরীক্ষায় ‘অটোপাস’; দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবের সম্ভাবনা

একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। সম্পূর্ণ পরীক্ষা নেয়া ছাড়া এভাবে ফলাফল ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারেই দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার সর্বস্তরে এমনকি কর্মজীবনে প্রবেশেও জটিলতা তৈরি হবে।

স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল না করে বরং প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের আরো সময় দেয়া, সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষকরা। একইসাথে সামগ্রিকভাবে সব শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা বাতিল না করে, বিশেষ করে যেসব পরীক্ষার্থী আন্দোলনের সময় গুরুতর অসুস্থ বা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষা গবেষকরা।

স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবীতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি ছিল যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে তার ভিত্তিতে এবং স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফল কিভাবে দেয়া হবে সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয় নি। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল সব বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সাথে বৈঠকের পর ফলাফলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ। গত ৩০শে জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাত বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিণত হয়। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বাকি ছিলো আরো ছয় বিষয়ের পরীক্ষা। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও হয় নি।

পরীক্ষা বাতিল করে ফলাফল ঘোষণার এ সিদ্ধান্তে পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ দ্বিমত পোষণ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এভাবে অটো পাশের বিষয়টিতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

শিক্ষার্থীরা আবেগের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এমন দাবি করলেও ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই আন্দোলনে আহতদের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের সমর্থন করছে। যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার্থীদের অন্তত পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে ফলাফল দেয়া উচিত। তা না হলে এর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব শিক্ষার্থীদের উপর পড়বে- বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা সরকারের দায়িত্ব।

আরো পড়ুন : দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

এইচএসসি পরীক্ষায় ‘অটোপাস’; দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবের সম্ভাবনা

আপডেট সময় ১২:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। সম্পূর্ণ পরীক্ষা নেয়া ছাড়া এভাবে ফলাফল ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারেই দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার সর্বস্তরে এমনকি কর্মজীবনে প্রবেশেও জটিলতা তৈরি হবে।

স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল না করে বরং প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের আরো সময় দেয়া, সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষকরা। একইসাথে সামগ্রিকভাবে সব শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা বাতিল না করে, বিশেষ করে যেসব পরীক্ষার্থী আন্দোলনের সময় গুরুতর অসুস্থ বা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষা গবেষকরা।

স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবীতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি ছিল যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে তার ভিত্তিতে এবং স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফল কিভাবে দেয়া হবে সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয় নি। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল সব বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সাথে বৈঠকের পর ফলাফলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ। গত ৩০শে জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাত বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিণত হয়। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বাকি ছিলো আরো ছয় বিষয়ের পরীক্ষা। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও হয় নি।

পরীক্ষা বাতিল করে ফলাফল ঘোষণার এ সিদ্ধান্তে পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ দ্বিমত পোষণ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এভাবে অটো পাশের বিষয়টিতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

শিক্ষার্থীরা আবেগের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এমন দাবি করলেও ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই আন্দোলনে আহতদের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের সমর্থন করছে। যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার্থীদের অন্তত পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে ফলাফল দেয়া উচিত। তা না হলে এর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব শিক্ষার্থীদের উপর পড়বে- বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা সরকারের দায়িত্ব।

আরো পড়ুন : দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে