ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

দুর্নীতির মামলায় আপিলেও খালাস গিয়াস উদ্দিন মামুন

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে হাই কোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে মামুনের আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।

মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, ‘এক-এগারোর’ পর জরুরি অবস্থার সময় এ মামলা দায়ের করা হয়। বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের সাজা দেয়। পরে হাই কোর্ট খালাস দেয়। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে।

“আপিল বিভাগ মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য হাই কোর্টে পাঠায়। পুনরায় শুনানির আদেশের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন রিভিউ করেন। সেই রিভিউ আদালত মঞ্জুর করে; এরপর তার রিভিউ আবেদন আপিলে রূপান্তর হয়। আজ সেই আপিল মঞ্জুর করেছেন। ফলে হাই কোর্টের খালাসের রায় বহাল থাকল।”

দুদকের নোটিসের পরও সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ২০০৭ সালের ৮ মে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ জজ আদালত মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই মামুনকে খালাস দেয়।

হাই কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে পরে লিভ টু আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর হাই কোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাই কোর্টে পুনরায় আপিল শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগের ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। আপিল বিভাগ তার রিভিউ মঞ্জুর করলে তিনি আপিল করেন, যা বৃহস্পতিবার মঞ্জুর করা হল।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

দুর্নীতির মামলায় আপিলেও খালাস গিয়াস উদ্দিন মামুন

আপডেট সময় ০১:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে হাই কোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে মামুনের আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।

মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, ‘এক-এগারোর’ পর জরুরি অবস্থার সময় এ মামলা দায়ের করা হয়। বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের সাজা দেয়। পরে হাই কোর্ট খালাস দেয়। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে।

“আপিল বিভাগ মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য হাই কোর্টে পাঠায়। পুনরায় শুনানির আদেশের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন রিভিউ করেন। সেই রিভিউ আদালত মঞ্জুর করে; এরপর তার রিভিউ আবেদন আপিলে রূপান্তর হয়। আজ সেই আপিল মঞ্জুর করেছেন। ফলে হাই কোর্টের খালাসের রায় বহাল থাকল।”

দুদকের নোটিসের পরও সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ২০০৭ সালের ৮ মে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ জজ আদালত মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই মামুনকে খালাস দেয়।

হাই কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে পরে লিভ টু আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর হাই কোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাই কোর্টে পুনরায় আপিল শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগের ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। আপিল বিভাগ তার রিভিউ মঞ্জুর করলে তিনি আপিল করেন, যা বৃহস্পতিবার মঞ্জুর করা হল।