ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

“পৃথিবীর জনবসতি থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ” যেখানে কিছু মানুষ আজও বসবাস করে

পৃথিবীজুড়ে জলরাশির বুকে ছড়িয়ে আছে রহস্যঘেরা বিভিন্ন দ্বীপ। যার গল্প অনেকের কাছেই অজানা। এমনই এক নীল জলরাশির মাঝে বুক উঁচু করে আছে ছোট্ট এক টুকরো ভূখণ্ড। নাম তার ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপ।
কুনহা দ্বীপের সবচেয়ে নিকটতম দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মাছ ধরার নৌকা বা ক্রুজ জাহাজ। দুর্গম অবস্থানের কারণে একে পৃথিবীর বিচ্ছিন্নতম দ্বীপও বলা হয়। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে দ্বীপটিতে বাস করছেন কিছু ব্রিটিশ নাগরিক।
অনেকের মনেই এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে যে, সমুদ্রের বুকে পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের এই মানুষগুলো কীভাবে টিকে আছে? আটলান্টিকের বুকে এই ছোট্ট দ্বীপে কীভাবেই বা তারা পৌঁছল? জানা যায়, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসমুদ্রের মাঝে ত্রিস্তান দ্য কুনহার অবস্থান। সর্বমোট ৬টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে দ্বীপপুঞ্জটি গঠিত। এর মধ্যে তিনটি আগ্নেয় দ্বীপ।
জানা গেছে, বর্তমানে ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপে আনুমানিক ২৫০ ব্রিটিশ নাগরিক স্থায়ীভাবে দ্বীপে বসবাস করছেন। এদের প্রধান পেশা মূলত কৃষি। প্রধান কৃষিজ পণ্য আলু। এছাড়া এখানকার মানুষরা স্ট্রবেরি ও পিচ ফল চাষ করেন। মাছ ধরা, পশু পালন ইত্যাদি পেশার সঙ্গেও সম্পৃক্ত তারা।

TISTAN-KUNHA.jpg-4.jpg
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও দ্বীপটির বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে এখানে। শিশুদের লেখাপড়ার জন্য আছে স্কুল, দ্বীপের বাইরে চিঠি আদান-প্রদানের জন্য আছে পোস্ট অফিস, প্রার্থনার জন্য চার্চ, আছে কমিনিউটি হল, ক্যাফে, হাসপাতাল, এমনকি জাদুঘর। সব মিলে যেন এটি একটি গোটা দেশ হিসেবেই পরিচিত।
শুরুতে সামরিক কাজে ব্যবহৃত হলেও পরে দ্বীপটিতে বেসামরিক লোকজন বসবাস শুরু করে। ত্রিস্তান দ্য কুনহা বর্তমানে ব্রিটিশ ওভারসিস টেরিটরির অংশ। এর যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ ২ কিলোমিটার দূরের সেন্ট হেলেনা দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয়।

TISTAN-KUNHA-1.jpg-2-1.jpg
চারদিক পাহাড় বেষ্টিত দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সমতল ভূমি। তাতেই গড়ে উঠেছে একমাত্র স্থায়ী মানব বসতি। রানি ভিক্টোরিয়ার পুত্র প্রিন্স আলফ্রেড ১৮৬৭ সালে এই দ্বীপটিতে ভ্রমণে যান।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

“পৃথিবীর জনবসতি থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ” যেখানে কিছু মানুষ আজও বসবাস করে

আপডেট সময় ০৫:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

পৃথিবীজুড়ে জলরাশির বুকে ছড়িয়ে আছে রহস্যঘেরা বিভিন্ন দ্বীপ। যার গল্প অনেকের কাছেই অজানা। এমনই এক নীল জলরাশির মাঝে বুক উঁচু করে আছে ছোট্ট এক টুকরো ভূখণ্ড। নাম তার ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপ।
কুনহা দ্বীপের সবচেয়ে নিকটতম দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মাছ ধরার নৌকা বা ক্রুজ জাহাজ। দুর্গম অবস্থানের কারণে একে পৃথিবীর বিচ্ছিন্নতম দ্বীপও বলা হয়। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে দ্বীপটিতে বাস করছেন কিছু ব্রিটিশ নাগরিক।
অনেকের মনেই এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে যে, সমুদ্রের বুকে পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের এই মানুষগুলো কীভাবে টিকে আছে? আটলান্টিকের বুকে এই ছোট্ট দ্বীপে কীভাবেই বা তারা পৌঁছল? জানা যায়, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসমুদ্রের মাঝে ত্রিস্তান দ্য কুনহার অবস্থান। সর্বমোট ৬টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে দ্বীপপুঞ্জটি গঠিত। এর মধ্যে তিনটি আগ্নেয় দ্বীপ।
জানা গেছে, বর্তমানে ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপে আনুমানিক ২৫০ ব্রিটিশ নাগরিক স্থায়ীভাবে দ্বীপে বসবাস করছেন। এদের প্রধান পেশা মূলত কৃষি। প্রধান কৃষিজ পণ্য আলু। এছাড়া এখানকার মানুষরা স্ট্রবেরি ও পিচ ফল চাষ করেন। মাছ ধরা, পশু পালন ইত্যাদি পেশার সঙ্গেও সম্পৃক্ত তারা।

TISTAN-KUNHA.jpg-4.jpg
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও দ্বীপটির বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে এখানে। শিশুদের লেখাপড়ার জন্য আছে স্কুল, দ্বীপের বাইরে চিঠি আদান-প্রদানের জন্য আছে পোস্ট অফিস, প্রার্থনার জন্য চার্চ, আছে কমিনিউটি হল, ক্যাফে, হাসপাতাল, এমনকি জাদুঘর। সব মিলে যেন এটি একটি গোটা দেশ হিসেবেই পরিচিত।
শুরুতে সামরিক কাজে ব্যবহৃত হলেও পরে দ্বীপটিতে বেসামরিক লোকজন বসবাস শুরু করে। ত্রিস্তান দ্য কুনহা বর্তমানে ব্রিটিশ ওভারসিস টেরিটরির অংশ। এর যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ ২ কিলোমিটার দূরের সেন্ট হেলেনা দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয়।

TISTAN-KUNHA-1.jpg-2-1.jpg
চারদিক পাহাড় বেষ্টিত দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সমতল ভূমি। তাতেই গড়ে উঠেছে একমাত্র স্থায়ী মানব বসতি। রানি ভিক্টোরিয়ার পুত্র প্রিন্স আলফ্রেড ১৮৬৭ সালে এই দ্বীপটিতে ভ্রমণে যান।