ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানি পানের ধরনের উপর নির্ভর করে উপকারিতা

জলের অপর নাম জীবন। চিকিৎসকেরা প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে অন্তত ৪ লিটার জল পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু জল শুধু পান করলেই হবে না। বরং কী ভাবে জল পান করা হচ্ছে তার উপরেও উপকারিতা নির্ভর করেন। জল পানের সময় অনেকেই কয়েকটি ভুল করে থাকেন।

১) দ্রুত জলপান করা: তেষ্টা পেলে অনেকেই দ্রুত জল পান করেন। কিন্তু এই অভ্যাসের ফলে দেহে তখন সায়মিক ভাবে ঝটকা লাগে। তাই জল পানের সময় মুখের মধ্যে তাকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য রেখে তার পর গিলে নেওয়া উচিত।

২) গরম বনাম ঠান্ডা জল: সাধারণত জল পানের সময় ঠান্ডা বা গরম জল পান করা হয়। তার ফলে সেই জলকে শরীরের উপযুক্ত করে তুলতে দেহের উপর চাপ তৈরি হয়। তাই ঘরের তাপমাত্রায় রাখা জলই পান করা উচিত।

৩) খাবারের সঙ্গে জল: খাবার খাওয়ার সময়ে অনেকেরই জল পানের অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু খাবারের সঙ্গে জল পান করলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। তাই খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা পরে জল পান করা উচিত।

৪) জলের বোতল: অনেকেই প্লাস্টিকের জলের বোতল ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতে জলের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক দেহে প্রবেশ করে। ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। প্লাস্টিকের তুলনায় কাচ বা তামার বোতল থেকে জল পানে উপকার বেশি।

৫) তেষ্টা মেটানো: কেউ কেউ তেষ্টা পেলে একমাত্র তখনই জলপান করেন। এই অভ্যাসের ফলে দেহে জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে। তাই তেষ্টা না পেলেও নির্দিষ্ট সময়ান্তরে জল পানের অভ্যাস তৈরি করা উচিত।

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জের মানুষের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো : মুস্তাক আহমেদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পানি পানের ধরনের উপর নির্ভর করে উপকারিতা

আপডেট সময় ০৯:৪০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

জলের অপর নাম জীবন। চিকিৎসকেরা প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে অন্তত ৪ লিটার জল পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু জল শুধু পান করলেই হবে না। বরং কী ভাবে জল পান করা হচ্ছে তার উপরেও উপকারিতা নির্ভর করেন। জল পানের সময় অনেকেই কয়েকটি ভুল করে থাকেন।

১) দ্রুত জলপান করা: তেষ্টা পেলে অনেকেই দ্রুত জল পান করেন। কিন্তু এই অভ্যাসের ফলে দেহে তখন সায়মিক ভাবে ঝটকা লাগে। তাই জল পানের সময় মুখের মধ্যে তাকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য রেখে তার পর গিলে নেওয়া উচিত।

২) গরম বনাম ঠান্ডা জল: সাধারণত জল পানের সময় ঠান্ডা বা গরম জল পান করা হয়। তার ফলে সেই জলকে শরীরের উপযুক্ত করে তুলতে দেহের উপর চাপ তৈরি হয়। তাই ঘরের তাপমাত্রায় রাখা জলই পান করা উচিত।

৩) খাবারের সঙ্গে জল: খাবার খাওয়ার সময়ে অনেকেরই জল পানের অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু খাবারের সঙ্গে জল পান করলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। তাই খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা পরে জল পান করা উচিত।

৪) জলের বোতল: অনেকেই প্লাস্টিকের জলের বোতল ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতে জলের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক দেহে প্রবেশ করে। ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। প্লাস্টিকের তুলনায় কাচ বা তামার বোতল থেকে জল পানে উপকার বেশি।

৫) তেষ্টা মেটানো: কেউ কেউ তেষ্টা পেলে একমাত্র তখনই জলপান করেন। এই অভ্যাসের ফলে দেহে জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে। তাই তেষ্টা না পেলেও নির্দিষ্ট সময়ান্তরে জল পানের অভ্যাস তৈরি করা উচিত।