ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

সোনাহাট স্থলবন্দরে ১০ বছরেও চালু হয়নি ইমিগ্রেশন কার্যক্রম 

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ২০১৩ সালে দেশের ১৮তম স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে সোনহাট স্থলবন্দর। শুরু থেকেই স্থলবন্দরটি রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনাময় একটি বন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই স্থল বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও শুধু ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় আমদানি- রফতানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে ব্যাঘাত ঘটছে । দীর্ঘ ১০ বছর অতিবাহিত হলেও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং সরকার হারাচ্ছে বিরাট অংকের রাজস্ব আয়। 
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে বারবার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত চালু হয়নি ইমিগ্রেশন। তাই শিগগিরই এই বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর দাবি জানিয়েছেন স্থলবন্দর কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ভারতের আসাম, মেঘালয় সহ সেভেন সিস্টার-স খ্যাত রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ও রফতানির জন্য ২০১৩ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর সোনাহাট স্থলবন্দর চালু করা হয়। আমদানি পণ্যগুলোর তালিকা লিষ্টে আছে পাথর, কয়লা, তাজা ফল, ভুট্টা, গম, চাল, ডাল, আদা, পেঁয়াজ ও রসুন। তবে বন্দর চালুর দীর্ঘতম সময় পার হলেও এ পর্যন্ত শুধু পাথর ও কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে জুট ওয়েস্ট কটন, সিনথেটিক নেট, গার্মেন্টস প্রডাক্ট, আকিজের ও আরএফএল- এর প্লাইউড ও প্লাস্টিকের প্রডাক্ট। বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় হচ্ছে।
বন্দর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যেই আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে প্রায় তিন হাজার বন্দর শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বন্দরের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ও মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই বন্দরটি চালু করার পর অনেক আশা নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসা শুরু করে। কিন্তু ভারতীয় প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে এলসি করেও কয়লা ও পাথরের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। ফলে আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে ইমিগ্রেশন চালু করার জন্য। সোনারহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হলে বাড়বে ব্যবসায়িক কার্যক্রম, ভোগান্তি কমবে পাসপোর্ট ধারি যাত্রীদের। এই জেলার যাত্রীদের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়া আর ভারতে যেতে হবে না।  আমাদের দাবি একটাই সোনাহাট স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন দ্রুত চালু চাই।।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সোনাহাট স্থলবন্দরে ১০ বছরেও চালু হয়নি ইমিগ্রেশন কার্যক্রম 

আপডেট সময় ১১:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ২০১৩ সালে দেশের ১৮তম স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে সোনহাট স্থলবন্দর। শুরু থেকেই স্থলবন্দরটি রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনাময় একটি বন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই স্থল বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও শুধু ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় আমদানি- রফতানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে ব্যাঘাত ঘটছে । দীর্ঘ ১০ বছর অতিবাহিত হলেও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং সরকার হারাচ্ছে বিরাট অংকের রাজস্ব আয়। 
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে বারবার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত চালু হয়নি ইমিগ্রেশন। তাই শিগগিরই এই বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর দাবি জানিয়েছেন স্থলবন্দর কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ভারতের আসাম, মেঘালয় সহ সেভেন সিস্টার-স খ্যাত রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ও রফতানির জন্য ২০১৩ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর সোনাহাট স্থলবন্দর চালু করা হয়। আমদানি পণ্যগুলোর তালিকা লিষ্টে আছে পাথর, কয়লা, তাজা ফল, ভুট্টা, গম, চাল, ডাল, আদা, পেঁয়াজ ও রসুন। তবে বন্দর চালুর দীর্ঘতম সময় পার হলেও এ পর্যন্ত শুধু পাথর ও কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে জুট ওয়েস্ট কটন, সিনথেটিক নেট, গার্মেন্টস প্রডাক্ট, আকিজের ও আরএফএল- এর প্লাইউড ও প্লাস্টিকের প্রডাক্ট। বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় হচ্ছে।
বন্দর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যেই আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে প্রায় তিন হাজার বন্দর শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বন্দরের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ও মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই বন্দরটি চালু করার পর অনেক আশা নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসা শুরু করে। কিন্তু ভারতীয় প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে এলসি করেও কয়লা ও পাথরের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। ফলে আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে ইমিগ্রেশন চালু করার জন্য। সোনারহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হলে বাড়বে ব্যবসায়িক কার্যক্রম, ভোগান্তি কমবে পাসপোর্ট ধারি যাত্রীদের। এই জেলার যাত্রীদের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়া আর ভারতে যেতে হবে না।  আমাদের দাবি একটাই সোনাহাট স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন দ্রুত চালু চাই।।