ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

১৪ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ২৮২ শতাংশ

‘হার্ড কারেন্সি’ বলতে মূলত মার্কিন ডলারকে বোঝে বাংলাদেশ। কেননা, আন্তর্জাতিক বাজারে এই মুদ্রা সহজে বিনিময়যোগ্য। দামে ওঠানামাও কম। তাই, ডলারকে কেন্দ্র করেই বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধ হয় এখান থেকেই।

রিজার্ভের অর্থে ভর করেই, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল কিংবা এক্সপ্রেসওয়ের মতো অবকাঠামো তৈরি করেছে বিগত সরকার। আলোর মুখ দেখছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আর গভীর সমুদ্রবন্দরও। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পালাবদল আর এর মাঝেই কয়েকটি মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি শুরু হওয়ায়, আগের চেয়ে বেশি গুনতে হচ্ছে প্রায় ২৮ কোটি ডলার। একই সময়ে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমে গেছে ৯০ ভাগের বেশি।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট বলছে, গত ১৪ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২৮২ শতাংশ বা ৭৪ বিলিয়ন ডলার। যার সিংহভাগই দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। গেল বছর, এসব সহায়তার সুদই ছিল প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার। আর মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নেই সরকারকে শোধ করতে হবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

স্বল্পমেয়াদি আর দ্বিপাক্ষিক ঋণ তো আছেই। আইএমএফের নতুন ঋণের অর্থছাড় হওয়ায় এই চাপ সামনে আরও বাড়বে। আপাতত কোনো কিস্তি বাদ না পড়লেও, চাপ সামলাতে গলদঘর্ম অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ বিদেশি ঋণের গ্যারান্টি দিয়েছে স্থানীয় ব্যাংক। কোনো কারণে অর্থ ফেরত দিতে দেরি হলে, চাপে পড়বে অর্থনীতি।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন প্রকল্পগুলো ঠিক আছে কিনা, কারিগরি দিক ও বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তাদের বিশেষজ্ঞরা এসে কাজ করেন। ঋণের বিষয়ে বলেন, তাদের ব্যবসায়িক আগ্রহটা সবসময় গুরুত্ব পায়। তাদের মধ্যে একটা বিশ্বাস ছিল। সেখানে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারকে প্রমাণ করতে হবে দেশের সবকিছু ঠিক আছে। আমাদের নিয়মকানুন, কোর্ট, বিচার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সব ঠিক আছে এটি প্রমাণ করতে হবে। কেননা, ঋণদাতা সংস্থাগুলো এসব খোঁজখবর নিয়েই ঋণ দিয়ে থাকে।

বলা হচ্ছে, জানুয়ারিতে বাজেট সংশোধন হলে স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া কমাবে বর্তমান সরকার। সেক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণে নির্ভরতা আরও বাড়তে পারে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

১৪ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ২৮২ শতাংশ

আপডেট সময় ১১:৩৭:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

‘হার্ড কারেন্সি’ বলতে মূলত মার্কিন ডলারকে বোঝে বাংলাদেশ। কেননা, আন্তর্জাতিক বাজারে এই মুদ্রা সহজে বিনিময়যোগ্য। দামে ওঠানামাও কম। তাই, ডলারকে কেন্দ্র করেই বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধ হয় এখান থেকেই।

রিজার্ভের অর্থে ভর করেই, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল কিংবা এক্সপ্রেসওয়ের মতো অবকাঠামো তৈরি করেছে বিগত সরকার। আলোর মুখ দেখছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আর গভীর সমুদ্রবন্দরও। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পালাবদল আর এর মাঝেই কয়েকটি মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি শুরু হওয়ায়, আগের চেয়ে বেশি গুনতে হচ্ছে প্রায় ২৮ কোটি ডলার। একই সময়ে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমে গেছে ৯০ ভাগের বেশি।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট বলছে, গত ১৪ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২৮২ শতাংশ বা ৭৪ বিলিয়ন ডলার। যার সিংহভাগই দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। গেল বছর, এসব সহায়তার সুদই ছিল প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার। আর মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নেই সরকারকে শোধ করতে হবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

স্বল্পমেয়াদি আর দ্বিপাক্ষিক ঋণ তো আছেই। আইএমএফের নতুন ঋণের অর্থছাড় হওয়ায় এই চাপ সামনে আরও বাড়বে। আপাতত কোনো কিস্তি বাদ না পড়লেও, চাপ সামলাতে গলদঘর্ম অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ বিদেশি ঋণের গ্যারান্টি দিয়েছে স্থানীয় ব্যাংক। কোনো কারণে অর্থ ফেরত দিতে দেরি হলে, চাপে পড়বে অর্থনীতি।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন প্রকল্পগুলো ঠিক আছে কিনা, কারিগরি দিক ও বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তাদের বিশেষজ্ঞরা এসে কাজ করেন। ঋণের বিষয়ে বলেন, তাদের ব্যবসায়িক আগ্রহটা সবসময় গুরুত্ব পায়। তাদের মধ্যে একটা বিশ্বাস ছিল। সেখানে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারকে প্রমাণ করতে হবে দেশের সবকিছু ঠিক আছে। আমাদের নিয়মকানুন, কোর্ট, বিচার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সব ঠিক আছে এটি প্রমাণ করতে হবে। কেননা, ঋণদাতা সংস্থাগুলো এসব খোঁজখবর নিয়েই ঋণ দিয়ে থাকে।

বলা হচ্ছে, জানুয়ারিতে বাজেট সংশোধন হলে স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া কমাবে বর্তমান সরকার। সেক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণে নির্ভরতা আরও বাড়তে পারে।