ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ত্রবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

দুই দেশের অরণ্যঘেরা সীমান্ত এলাকায় পাঁচদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর আজ সোমবার (২৮ জুলাই) ‘নিঃশর্তভাবে’ নিজেদের মধ্যে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। পুরোনো সীমান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক এই সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৩৬ জন মানুষের আর হাজার হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। খবর এএফপির।

এই সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ নামের একটি এলাকা। ১৯০৭ সালে কম্বোডিয়ার ফরাসি ঔপনিবেশিক প্রশাসকরা ওই এলাকাটির অস্পষ্ট সীমানা নির্ধারণের কারণে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই দেশই ওই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা আর সাম্প্রতিক সময়ে এই বিবাদ ঘিরে সংঘাত ছিল সবচেয়ে মারাত্মক।

আজ মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, ‘আজ সোমবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাত থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই প্রতিবেশী দেশই তাদের মধ্যে তাৎক্ষণিক ও শর্তহীনভাবে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালনকারী মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সোমবার তার সরকারি বাসভবনে ওই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকে মধ্যস্থতা করার পর অস্ত্রবিরতির এই ঘোষণা দেন। এই সময় সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিমের পাশে ছিলেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম উইচায়াচাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত।

সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ। দুই দেশের নেতাই তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রবিরতির জন্য তাদের অবস্থান ও ইচ্ছার বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সংঘাত থামাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে তারা এই বিষয়ে ঐকমত্যের কথা জানিয়েছেন।’

এদিকে, থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম উইচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত তাদের মধ্যে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেন, ‘যে সমাধানের কথা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঘোষণা করেছেন তা আমাদের সামনে এগিয়ে চলতে ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ফিরে যেতে সহায়তা করবে। এই উদ্যোগ আমাদের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে।’

দুই দেশের ওই সীমান্তে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পর্যটন এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক সংঘাতে দুই দেশের সশস্ত্রবাহিনীর ভারী গোলা বিনিময়ে কমপক্ষে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে দুই লাখেরও বেশি মানুষ।

নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ক্ষমতা ছাড়ছেন না জাপানের প্রধানমন্ত্রী

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

‘জুলাই সনদের’ খসড়া সব রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছে: আলী রীয়াজ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অস্ত্রবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

আপডেট সময় ০৮:১৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

দুই দেশের অরণ্যঘেরা সীমান্ত এলাকায় পাঁচদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর আজ সোমবার (২৮ জুলাই) ‘নিঃশর্তভাবে’ নিজেদের মধ্যে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। পুরোনো সীমান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক এই সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৩৬ জন মানুষের আর হাজার হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। খবর এএফপির।

এই সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ নামের একটি এলাকা। ১৯০৭ সালে কম্বোডিয়ার ফরাসি ঔপনিবেশিক প্রশাসকরা ওই এলাকাটির অস্পষ্ট সীমানা নির্ধারণের কারণে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই দেশই ওই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা আর সাম্প্রতিক সময়ে এই বিবাদ ঘিরে সংঘাত ছিল সবচেয়ে মারাত্মক।

আজ মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, ‘আজ সোমবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাত থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই প্রতিবেশী দেশই তাদের মধ্যে তাৎক্ষণিক ও শর্তহীনভাবে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালনকারী মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সোমবার তার সরকারি বাসভবনে ওই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকে মধ্যস্থতা করার পর অস্ত্রবিরতির এই ঘোষণা দেন। এই সময় সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিমের পাশে ছিলেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম উইচায়াচাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত।

সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ। দুই দেশের নেতাই তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রবিরতির জন্য তাদের অবস্থান ও ইচ্ছার বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সংঘাত থামাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে তারা এই বিষয়ে ঐকমত্যের কথা জানিয়েছেন।’

এদিকে, থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম উইচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত তাদের মধ্যে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেন, ‘যে সমাধানের কথা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঘোষণা করেছেন তা আমাদের সামনে এগিয়ে চলতে ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ফিরে যেতে সহায়তা করবে। এই উদ্যোগ আমাদের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে।’

দুই দেশের ওই সীমান্তে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পর্যটন এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক সংঘাতে দুই দেশের সশস্ত্রবাহিনীর ভারী গোলা বিনিময়ে কমপক্ষে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে দুই লাখেরও বেশি মানুষ।

নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ক্ষমতা ছাড়ছেন না জাপানের প্রধানমন্ত্রী