ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও সাত দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বুধবার (৯ জুলাই) আরও সাতটি দেশের কাছে নতুন শুল্ক হারের ঘোষণা সংবলিত চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে করে শুল্ক আরোপিত দেশগুলোর সংখ্যা দাঁড়াল ২১। খবর সিএনবিসি

ট্রাম্প তার নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানান, নতুন চিঠিগুলো ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মলডোভা, আলজেরিয়া, ইরাক, লিবিয়া এবং শ্রীলঙ্কার নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, তিনি “বুধবার সকালে কমপক্ষে সাতটি দেশ এবং বিকেলে আরও কিছু দেশের জন্য নতুন ঘোষণা” দেবেন।

এর আগেই সোমবার (৭ জুলাই) তিনি ১৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে চিঠি পাঠান, যেখানে জানানো হয় যে, তাদের দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১ আগস্ট থেকে উচ্চ শুল্ক কার্যকর হবে। সেই তালিকায় রয়েছে: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ড।

চিঠিগুলোর ভাষা প্রায় একই, যেখানে ট্রাম্প লিখেছেন—নতুন শুল্ক হার ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে “আমাদের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে” তা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “এই শুল্ক হারগুলো এখনও যথেষ্ট নয়, যতটা হলে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি দূর হতে পারে।” ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতিকে “বৈদেশিক শোষণ” হিসেবে উপস্থাপন করে আসছেন, যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ এই যুক্তির সঙ্গে একমত নন।

তালিকাভুক্ত অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় বাণিজ্য অংশীদার না হলেও ট্রাম্প তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মলডোভার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র ৮৫ মিলিয়ন ডলার ছিল।

চলতি বছরের ২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রথম “লিবারেশন ডে” নামে একটি শুল্ক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যেখানে প্রায় সব দেশের জন্য ১০ শতাংশ ভিত্তিগত শুল্ক এবং নির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য আরও বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়।

এই ঘোষণার পর বিশ্ব বাণিজ্য বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে তিনি ৯০ দিনের জন্য ওই শুল্ক কার্যকর স্থগিত করেন। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল বুধবার, তবে সোমবার তিনি নতুন নির্বাহী আদেশে তা ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন।

মঙ্গলবার আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “১ আগস্টের তারিখে কোনো পরিবর্তন হবে না। সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না।”

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে চাপ ফেলতে পারে।

সাত দিনের ব্যবধানে লোহিত সাগরে দ্বিতীয় জাহাজ ডুবিয়ে দিলো হুথিরা

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আরও সাত দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেট সময় ০৩:০১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বুধবার (৯ জুলাই) আরও সাতটি দেশের কাছে নতুন শুল্ক হারের ঘোষণা সংবলিত চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে করে শুল্ক আরোপিত দেশগুলোর সংখ্যা দাঁড়াল ২১। খবর সিএনবিসি

ট্রাম্প তার নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানান, নতুন চিঠিগুলো ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মলডোভা, আলজেরিয়া, ইরাক, লিবিয়া এবং শ্রীলঙ্কার নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, তিনি “বুধবার সকালে কমপক্ষে সাতটি দেশ এবং বিকেলে আরও কিছু দেশের জন্য নতুন ঘোষণা” দেবেন।

এর আগেই সোমবার (৭ জুলাই) তিনি ১৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে চিঠি পাঠান, যেখানে জানানো হয় যে, তাদের দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১ আগস্ট থেকে উচ্চ শুল্ক কার্যকর হবে। সেই তালিকায় রয়েছে: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ড।

চিঠিগুলোর ভাষা প্রায় একই, যেখানে ট্রাম্প লিখেছেন—নতুন শুল্ক হার ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে “আমাদের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে” তা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “এই শুল্ক হারগুলো এখনও যথেষ্ট নয়, যতটা হলে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি দূর হতে পারে।” ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতিকে “বৈদেশিক শোষণ” হিসেবে উপস্থাপন করে আসছেন, যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ এই যুক্তির সঙ্গে একমত নন।

তালিকাভুক্ত অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় বাণিজ্য অংশীদার না হলেও ট্রাম্প তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মলডোভার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র ৮৫ মিলিয়ন ডলার ছিল।

চলতি বছরের ২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রথম “লিবারেশন ডে” নামে একটি শুল্ক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যেখানে প্রায় সব দেশের জন্য ১০ শতাংশ ভিত্তিগত শুল্ক এবং নির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য আরও বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়।

এই ঘোষণার পর বিশ্ব বাণিজ্য বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে তিনি ৯০ দিনের জন্য ওই শুল্ক কার্যকর স্থগিত করেন। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল বুধবার, তবে সোমবার তিনি নতুন নির্বাহী আদেশে তা ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন।

মঙ্গলবার আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “১ আগস্টের তারিখে কোনো পরিবর্তন হবে না। সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না।”

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে চাপ ফেলতে পারে।

সাত দিনের ব্যবধানে লোহিত সাগরে দ্বিতীয় জাহাজ ডুবিয়ে দিলো হুথিরা