দীর্ঘদিনের আলোচনার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল। ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোয় গাজার ফিলিস্তিনিরা উদযাপন করছেন। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, এখনও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে তাদের আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর থেকে ছিটমহলে কমপক্ষে ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ নিয়ে গত ১৫ মাস ধরে দখলদার ইসরায়েলের চালানো হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৭০৭ জনে। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
চুক্তির বিষয়ে হামাস কর্মকর্তা ইজ্জত আল-রিশেক বলেছেন, কাতারের দোহায় সম্পাদিত চুক্তিটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। চুক্তির মধ্যে রয়েছে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত মানুষদের তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধের স্থায়ী অবসান।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘কয়েক ডজন জিম্মি এবং তাদের পরিবারের দুর্ভোগের অবসান’ করার জন্য চুক্তি ‘এগিয়ে নিতে সহায়তার’ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্বর এ বাহিনীর নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।