জাপান সংলগ্ন জলসীমায় প্রথমবারের মতো চীনা রণতরী শনাক্তের দাবি করেছে জাপানি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণ ইয়োনাগুনি এবং ইরিওমোট দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় রণতরীটি শনাক্ত করেছে দেশটি। জাপানের জলসীমায় চীনা রণতরীর অস্থায়ী এই অনুপ্রবেশের ঘটনা প্রতিবেশী দেশগুলোর উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে এর বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
তাইওয়ানের জলসীমায় চীনা জাহাজের অনুপ্রবেশ নিয়মিত ঘটনা হলেও জাপানে তা একেবারেই নতুন। এবারই প্রথম এমন খবর পাওয়া গেলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রণতরীটি জাপানের দক্ষিণ ইয়োনাগুনি এবং ইরিওমোট দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে চলাচল করছিল। এই এলাকাটি জাপান উপকূলরেখা থেকে ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। জাতিসংঘ আইনের আওতায় এই অঞ্চলে কিছু নিয়ন্ত্রণ শক্তি প্রয়োগ করতে পারে জাপান।
এ বিষয়ে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
জাপানি মিডিয়া অনুসারে, গত মাসে চীনা বিমান জাপানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের পর একটি চীনা নৌ সমীক্ষা জাহাজ দেশটির জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। পরে চীনের কাছে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানায় জাপানি কর্তৃপক্ষ। এর আগে, জুলাইয়ে একটি জাপানি নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার তাইওয়ানের কাছে চীনের আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছিল, যা একটি বিরল ঘটনা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানের কাছাকাছি এবং তাইওয়ানের আশেপাশে চীনা সামরিক তৎপরতার বৃদ্ধি টোকিওতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এর আগে, বুধবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, একই চীনা রণতরীটিকে তারা পূর্ব উপকূলের জলসীমার মধ্য দিয়ে জাপানের দক্ষিণতম দ্বীপ ইয়োনাগুনির দিকে যাত্রা করতে দেখেছে। দ্বীপটি তাইওয়ান থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার (৬৯ মাইল) পূর্বে অবস্থিত।
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে মনে করে চীন। তবে তাইপেই চীনের এমন দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি মেনে নিতে তাইওয়ানকে চাপ দেওয়ার জন্য এর চারপাশে পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে দেশটি।
এক বিবৃতিতে তাইপেই মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের তিনটি বিমানবাহী জাহাজের মধ্যে প্রাচীনতম লিয়াওনিংয়ের নেতৃত্বে চীনা জাহাজগুলোকে বুধবার ভোরে তাইওয়ানের উত্তর-পূর্ব দিকে জলের মধ্য দিয়ে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
এর পর দলটি ইয়োনাগুনির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে যাত্রা করে, যা দিনের আলোয় তাইওয়ান থেকে পরিষ্কার দেখা যায়।
তাইওয়ান জাহাজগুলোকে ট্র্যাক করেছে এবং পর্যবেক্ষণের জন্য তার বাহিনীকে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা, হামলাকারী আটক
কমলার সঙ্গে নতুন বিতর্কে অংশ নেবেন না ট্রাম্প
পশ্চিমা বিশ্বকে যুদ্ধের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির হুমকি দিলো রাশিয়া