ভারতে দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া ‘বাংলাদেশ সেল’ নতুন করে চালু করা হয়েছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত করে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে দুই দশক আগে গঠিত হয় এই সেল, যা দীর্ঘদিন অকার্যকর থাকলেও পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
আজ (১ জানুয়ারি) বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দিল্লিতে সাম্প্রতিক অভিযানে নতুন করে বেশ কয়েকটি জেলায় অনানুষ্ঠানিকভাবে “বিদেশি বহিষ্কার সেল” নামে একই ধরনের ইউনিট গঠন করা হয়েছে। ২০০০ সালের শুরুর দিকে সাবেক পুলিশ কমিশনারের উদ্যোগে প্রতিটি জেলায় এই বিশেষ ইউনিট গঠিত হয়েছিল। তখন হাজার হাজার বাংলাদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
সেলগুলোতে বাংলা ভাষায় দক্ষ পুলিশ সদস্যদের বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিটে ৫ থেকে ১০ জন সদস্য থাকছেন, যাদের নেতৃত্বে থাকছেন একজন ইন্সপেক্টর বা সাব-ইন্সপেক্টর। অসম ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বাঙালি পুলিশ সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ভাষাগত পার্থক্য চিহ্নিত করাই অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের বাংলার উচ্চারণ ও শব্দচয়নের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে, যা শনাক্ত করতে পারলে অভিযানে সফলতা সহজ হয়। ভাষাগত দক্ষতা আমাদের যাচাই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং নিশ্চিত করে যে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে ভুল করে বহিষ্কৃত না হন।
এই সেলের সদস্যরা বস্তি, শ্রমিক শিবির এবং অননুমোদিত কলোনিগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছেন, যেখানে অবৈধ অভিবাসীদের থাকার সম্ভাবনা বেশি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলা এই অভিযানে স্থানীয় সোর্সদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
২০২৪ সালে এই ইউনিটগুলো ৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। পুলিশের দাবি, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় এই অভিযান আরও জোরদার হবে।