ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ পত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর থেকেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। যদিও টিউলিপ সিদ্দিক বরাবরই সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সেখানে টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন:
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী,
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমার প্রতি আপনি যে আস্থা দেখিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনার মন্ত্রিপরিষদের মানদণ্ড-বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস, আমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে দ্রুততা ও এই বিষয়টি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি আমাকে আমার বর্তমান ও অতীতের আর্থিক পরিস্থিতি এবং বসবাসের ব্যবস্থাসম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। তার প্রতি আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে মন্ত্রিত্বের মানদণ্ডবিষয়ক আপনার স্বাধীন উপদেষ্টা যে দ্রুততা ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজ করেছেন এবং আমার বর্তমান ও অতীতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জীবনযাপনের পুরো বৃত্তান্ত তুলে ধরার সুযোগ দিয়েছেন, সে জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

আপনি জানেন, স্যার লরি এই বিষয়ে গভীর পর্যালোচনা শেষে নিশ্চিত করেছেন যে আমি মন্ত্রিপরিষদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। তিনি উল্লেখ করেছেন যে আমার মালিকানাধীন বা ব্যবহৃত সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই অনৈতিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি কিংবা আমার সম্পদ বৈধ উপায় ব্যতীত অন্য কোনো উৎস থেকে এসেছে, এমন কোনো প্রমাণ প্রমাণ নেই।

আমার পারিবারিক সম্পর্ক প্রকাশ্য বিষয়। মন্ত্রী হয়ে আমি সরকারের কাছে আমার সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত স্বার্থের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছি।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমাকে ঘোষণায় উল্লেখ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল যে আমার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত এড়াতে বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে চাই যে, এসব বিষয়ে আমি সর্বদা স্বচ্ছ থেকেছি এবং কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেছি।তবে, এটি পরিষ্কার যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন সরকারের কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এই লেবার সরকারের প্রতি এবং তার জাতীয় পুনর্গঠন ও রূপান্তরের কর্মসূচির প্রতি আমার গভীর আনুগত্য রয়েছে এবং থাকবে। তাই আমি আমার মন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনার সরকারে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতেও পেছনের সারি থেকে যেভাবে পারি সমর্থন দিয়ে যাবো।
শুভ কামনা,
টিউলিপ সিদ্দিক, এমপি

টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেইট আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, যে আসনটি প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের আসন হবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসের লাগোয়া।

মন্ত্রী হিসাবে টিউলিপ সিদ্দিকের দায়িত্ব ছিল যুক্তরাজ্যের আর্থিক বাজারে দুর্নীতি মোকাবেলা করা। গত মাসে তার পরিবারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত ব্যয় থেকে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে নাম প্রকাশ করা হয়।

তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি আওয়ামী লীগের প্রধান। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। লন্ডনে তার খালার সহযোগীদের সাথে সম্পর্কিত সম্পত্তি ব্যবহারের কারণে সিদ্দিক তীব্র তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক জোর দিয়ে বলছেন যে তিনি কোনও ভুল করেননি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষণশীল নেতা কেমি ব্যাডেনোচের কাছ থেকে তাকে মন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, তিনি অত্যন্ত দুঃখের সাথে এটি গ্রহণ করছেন এবং মন্ত্রী হিসাবে কাজের প্রতি তার নিষ্ঠার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেছেন, তার জন্য ‘দরজা খোলা রয়েছে।’।

প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, স্যার লরি ম্যাগনাস তাকে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসাবে নীতিমালার কোন লঙ্ঘন দেখতে পাননি এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও তার (টিউলিপ সিদ্দিকের) দিক থেকে কোন অন্যায্যতার প্রমাণ পান নি।

ব্রিটেনের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড সংক্রান্ত স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন যে তিনি সিদ্দিকের সাথে সম্পর্কিত “অন্যায্যতার কোনও প্রমাণ সনাক্ত করতে পারেননি”।

কিন্তু তিনি বলেন, এটা “দুঃখজনক” যে সিদ্দিক তার ঘনিষ্ঠ পরিবারের বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের “সম্ভাব্য সুনাম ঝুঁকি সম্পর্কে ততটা সতর্ক ছিলেন না”।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করেছে যেখানে মা, ভাই-বোন ও খালা শেখ হাসিনার সাথে টিউলিপ সিদ্দিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা পূর্বাচল নতুন শহরে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। বিবিসি বাংলা।

 

টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ফুলতলীতে ঈসালে সাওয়াব মাহফিলে লাখো মানুষের ঢল

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পদত্যাগ পত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর থেকেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। যদিও টিউলিপ সিদ্দিক বরাবরই সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সেখানে টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন:
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী,
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমার প্রতি আপনি যে আস্থা দেখিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনার মন্ত্রিপরিষদের মানদণ্ড-বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস, আমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে দ্রুততা ও এই বিষয়টি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি আমাকে আমার বর্তমান ও অতীতের আর্থিক পরিস্থিতি এবং বসবাসের ব্যবস্থাসম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। তার প্রতি আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে মন্ত্রিত্বের মানদণ্ডবিষয়ক আপনার স্বাধীন উপদেষ্টা যে দ্রুততা ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজ করেছেন এবং আমার বর্তমান ও অতীতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জীবনযাপনের পুরো বৃত্তান্ত তুলে ধরার সুযোগ দিয়েছেন, সে জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

আপনি জানেন, স্যার লরি এই বিষয়ে গভীর পর্যালোচনা শেষে নিশ্চিত করেছেন যে আমি মন্ত্রিপরিষদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। তিনি উল্লেখ করেছেন যে আমার মালিকানাধীন বা ব্যবহৃত সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই অনৈতিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি কিংবা আমার সম্পদ বৈধ উপায় ব্যতীত অন্য কোনো উৎস থেকে এসেছে, এমন কোনো প্রমাণ প্রমাণ নেই।

আমার পারিবারিক সম্পর্ক প্রকাশ্য বিষয়। মন্ত্রী হয়ে আমি সরকারের কাছে আমার সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত স্বার্থের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছি।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমাকে ঘোষণায় উল্লেখ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল যে আমার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত এড়াতে বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে চাই যে, এসব বিষয়ে আমি সর্বদা স্বচ্ছ থেকেছি এবং কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেছি।তবে, এটি পরিষ্কার যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন সরকারের কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এই লেবার সরকারের প্রতি এবং তার জাতীয় পুনর্গঠন ও রূপান্তরের কর্মসূচির প্রতি আমার গভীর আনুগত্য রয়েছে এবং থাকবে। তাই আমি আমার মন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনার সরকারে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতেও পেছনের সারি থেকে যেভাবে পারি সমর্থন দিয়ে যাবো।
শুভ কামনা,
টিউলিপ সিদ্দিক, এমপি

টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেইট আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, যে আসনটি প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের আসন হবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসের লাগোয়া।

মন্ত্রী হিসাবে টিউলিপ সিদ্দিকের দায়িত্ব ছিল যুক্তরাজ্যের আর্থিক বাজারে দুর্নীতি মোকাবেলা করা। গত মাসে তার পরিবারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত ব্যয় থেকে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে নাম প্রকাশ করা হয়।

তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি আওয়ামী লীগের প্রধান। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। লন্ডনে তার খালার সহযোগীদের সাথে সম্পর্কিত সম্পত্তি ব্যবহারের কারণে সিদ্দিক তীব্র তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক জোর দিয়ে বলছেন যে তিনি কোনও ভুল করেননি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষণশীল নেতা কেমি ব্যাডেনোচের কাছ থেকে তাকে মন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, তিনি অত্যন্ত দুঃখের সাথে এটি গ্রহণ করছেন এবং মন্ত্রী হিসাবে কাজের প্রতি তার নিষ্ঠার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেছেন, তার জন্য ‘দরজা খোলা রয়েছে।’।

প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, স্যার লরি ম্যাগনাস তাকে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসাবে নীতিমালার কোন লঙ্ঘন দেখতে পাননি এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও তার (টিউলিপ সিদ্দিকের) দিক থেকে কোন অন্যায্যতার প্রমাণ পান নি।

ব্রিটেনের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড সংক্রান্ত স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন যে তিনি সিদ্দিকের সাথে সম্পর্কিত “অন্যায্যতার কোনও প্রমাণ সনাক্ত করতে পারেননি”।

কিন্তু তিনি বলেন, এটা “দুঃখজনক” যে সিদ্দিক তার ঘনিষ্ঠ পরিবারের বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের “সম্ভাব্য সুনাম ঝুঁকি সম্পর্কে ততটা সতর্ক ছিলেন না”।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করেছে যেখানে মা, ভাই-বোন ও খালা শেখ হাসিনার সাথে টিউলিপ সিদ্দিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা পূর্বাচল নতুন শহরে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। বিবিসি বাংলা।

 

টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার