ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান-ভারত কি যুদ্ধে জড়াচ্ছে?

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক পদক্ষেপে চরম উত্তপ্ত দিল্লি-ইসলামাবাদের সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াচ্ছে পরমাণু শক্তিধর দেশ দুইটি?

এরইমধ্যে ভারতের সব বিরোধী দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকারকে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের সতর্কবার্তা— কাশ্মির ইস্যু গড়াতে পারে ভারত-পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধে। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে তার নেতিবাচক প্রভাব গোটা বিশ্বেই পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত পানি বন্টন চুক্তি স্থগিত করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের গুরুতর অবনতি ঘটিয়েছে। এটি বিশ্বব্যাংকের অনুমোদিত চুক্তি। তারা এভাবে এটি ভঙ্গ করতে পারে না। তাদের এই পদক্ষেপে সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনটি ঘটলে তা কেবল এই অঞ্চল ও আমাদের দেশই নয়, গোটা বিশ্বের ওপরই প্রভাব ফেলবে।

যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরই তীব্র নিন্দা জানানো উচিত উল্লেখ করে তিনি আরও বরেছেন, কয়েক দশক ধরেই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে আসছে পাকিস্তান।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির অভিযোগ, সন্ত্রাসী হামলায় সরকারের ব্যর্থতা থেকে ভারতীয়দের মনযোগ সরাতেই পাকিস্তানের ওপর দায় চাপানো হয়েছে।

তার দাবি, অপ্রয়োজনীয় সংঘাতে জড়াতে চায় না তার দেশ। তবে, আত্মরক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের ছেলে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে প্রত্যেক সন্ত্রাসী হামলাকেই আমরা দুই দেশের বিরোধে পরিণত করি। ঘটনার সাথে সাথে পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে সরাতেই এটি করেছে তারা। আমি আশা করি দুই দেশই সর্বোচ্চ সংযম দেখাবে। এই মুহূর্তে পাকিস্তান অপ্রয়োজনীয় কোনো সংঘাত উসকে দিতে আগ্রহী নয়। তবে আত্মরক্ষার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এদিকে, এরইমধ্যে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভিসা বাতিলের পর ভারত থেকে নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন পাকিস্তানিরা।

সিমলা চুক্তি কী? এটি স্থগিত হলে যে প্রভাব পড়বে ভারতের ওপর

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পাকিস্তান-ভারত কি যুদ্ধে জড়াচ্ছে?

আপডেট সময় ০৭:১৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক পদক্ষেপে চরম উত্তপ্ত দিল্লি-ইসলামাবাদের সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াচ্ছে পরমাণু শক্তিধর দেশ দুইটি?

এরইমধ্যে ভারতের সব বিরোধী দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকারকে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের সতর্কবার্তা— কাশ্মির ইস্যু গড়াতে পারে ভারত-পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধে। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে তার নেতিবাচক প্রভাব গোটা বিশ্বেই পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত পানি বন্টন চুক্তি স্থগিত করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের গুরুতর অবনতি ঘটিয়েছে। এটি বিশ্বব্যাংকের অনুমোদিত চুক্তি। তারা এভাবে এটি ভঙ্গ করতে পারে না। তাদের এই পদক্ষেপে সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনটি ঘটলে তা কেবল এই অঞ্চল ও আমাদের দেশই নয়, গোটা বিশ্বের ওপরই প্রভাব ফেলবে।

যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরই তীব্র নিন্দা জানানো উচিত উল্লেখ করে তিনি আরও বরেছেন, কয়েক দশক ধরেই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে আসছে পাকিস্তান।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির অভিযোগ, সন্ত্রাসী হামলায় সরকারের ব্যর্থতা থেকে ভারতীয়দের মনযোগ সরাতেই পাকিস্তানের ওপর দায় চাপানো হয়েছে।

তার দাবি, অপ্রয়োজনীয় সংঘাতে জড়াতে চায় না তার দেশ। তবে, আত্মরক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের ছেলে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে প্রত্যেক সন্ত্রাসী হামলাকেই আমরা দুই দেশের বিরোধে পরিণত করি। ঘটনার সাথে সাথে পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে সরাতেই এটি করেছে তারা। আমি আশা করি দুই দেশই সর্বোচ্চ সংযম দেখাবে। এই মুহূর্তে পাকিস্তান অপ্রয়োজনীয় কোনো সংঘাত উসকে দিতে আগ্রহী নয়। তবে আত্মরক্ষার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এদিকে, এরইমধ্যে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভিসা বাতিলের পর ভারত থেকে নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন পাকিস্তানিরা।

সিমলা চুক্তি কী? এটি স্থগিত হলে যে প্রভাব পড়বে ভারতের ওপর