বর্ণিল আয়োজনে ইংরেজি নববর্ষবরণ করেছে বিশ্ববাসী। আতশবাজির ঝলকানিতে বর্ণিল আলোয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশের জনগণও কমতি রাখেনি নতুন বছরকে বরণ করে নিতে।
সময়ের তারতম্যের কারণে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ কিরিবাতি। ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপ রাষ্ট্রটি বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেলেই ২০২৫ সালকে বরণ করে নেয়।
এরপর নতুন বছরকে বরণ করেন নিউজিল্যান্ডবাসী। স্থানীয় সময় রাত ১২টা বাজতেই নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের বিখ্যাত স্কাই টাওয়ার আতশবাজির আলোয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
জমজমাট আলোকসজ্জা প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিবাসী। শহরটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার দীর্ঘ আতশবাজির প্রদর্শনী হয় সিডনি হারবারে। অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এবার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হন বর্ণিল এ আয়োজনে। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত অপেরা হাউজেও দেখা মেলে আলোর ঝলকানির।
বর্ণিল আয়োজন আর উৎসবে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই উৎসবে মাতেন এসব দেশের কোটি কোটি মানুষ।
নতুন বছর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজির ঝলকানিতে মাতেন চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জনগণ। তবে বিমান দুর্ঘটনার কারণে অনেকটা নীরবেই নববর্ষ পার করেন সাউথ কোরিয়াবাসী।